নীলফামারীর সৈয়দপুরে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করায় ৩ পরিবারের ১৭ জন সদস্য গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়ী থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করায় তারা বর্তমানে দোলা দিয়ে যাতায়াত করে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের মুশরত ধুলিয়া কোচার পাড়া গ্রামে। এলাকার মৃত- তছির উদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী আব্দুল হালিম নিজের জায়গা দাবি করে জনগনের ৪০ বছর থেকে যাতায়াতের ওই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে এলাকার আনোয়ার হোসেন, মোকছেদ মৌলভী ও ইলিয়াস হোসেনের পরিবারের ১৭ জন সদস্য বাড়ী থেকে বের হতে পারছেন না। এ ব্যাপারে তারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরীকে বিষয়টি অবগত করলে ওই হালিম ও তার পরিবারের সদস্যরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায় হালিমের ছেলে হারুন ( ৩৫), হানিফ ( ২৫) ও চাচাতো ভাই শিমুল ( ৩০) ওই গৃহবন্দি পরিবারের বাড়ীতে গিয়ে তাদেরকে না পেয়ে বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুর করে সটকে পড়ে। অসহায় ওই পরিবারগুলো বাড়ী ভাংচুরের বিচার চেয়ে এলাকার মসজিদ কমিটি ও চেয়ারম্যানকে আবার বিষয়টি জানায়। তবে ওই ব্যক্তি চেয়ারম্যান ও মসজিদ কমিটির কোন কথাই তোয়াক্কা করেনি। গৃহবন্দি পরিবারের সদস্যরা জানায়, বাব-দাদার আমল থেকে প্রায় ৪০ বছর ধরে তারা ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। হঠাৎ করে ওই ব্যক্তি বেড়া ও কাটা দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে আমরা বাজারসহ অন্যান্য কাজ সারতে পারছি না। এর সমাধান করতে কেউ এগিয়ে আসছেন না। করোনা সংক্রমন নিয়ে যখন সারা বিশ^ আতংকিত তখন আমরা অসহায় ৩ পরিবার গৃহবন্দি। সামনে চলবে ধান কাটা মাড়াই। যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ থাকলে আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়বো। চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী জানান,সমস্যা সমাধানে আমি সেখানে যাই এবং রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু ওই ব্যক্তি কথা দিয়ে তা রাখেননি। ১৩ মে এ বিষয়ে কথা হয় রাস্তা বন্ধ করে রাখা ব্যক্তি হালিমের সাথে, তিনি পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করেন তবে তার ছেলে বলেন এ বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে। তাই এলাকার লোকের যাতায়াতের রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সুদৃষ্ঠি কামনা করেন তারা।