নওগাঁ জেলার সাপাহারে আম কেনা বেচার স্থল আমের আড়তগুলি মেরামতের ধুম পড়েছে। আর ক’দিন পরেই দেশের ফলের রাজা রসালো আম বাজারে নামবে। ইতোমধ্যেই সরকারীভাবে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলিতে আম সংগ্রহের সময় তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সে মতে আগামী ১৮মে গুটি আম, ২৫মে গোপাল ভোগ/রানী পছন্দ আম,৩১মে খিরশাপাত/হিমসাগর, ০২জুন নাগফজলী, ০৮জুন ল্যাংড়া, ১৮জুন ফজলী ২০জুুন আ¤্রপলী বা রুপালী এবং ০৮জুলাই আশ্বিনা আম ভাঙ্গা হবে। বৈশ্বিক করোনার প্রভাবে এবারে আমের বাজার কি হবে তা নিয়ে আমচাষীরা হতাশাগ্রস্থ। অন্যান্য বছরে এসময়ে রাজধানী ঢাকা শহর সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমের ব্যাপারীরা সাপাহারে আনাগোনা করলেও এখন পর্যন্ত বাজারে কোন আমের ব্যাপারীর দেখা মেলেনি। তার পরেও থেমে নেই এখানকার স্থানীয় আমব্যাবসায়ীগন। বছর পরে তারা তাদের আমের আড়তগুলি ঝেড়ে মুছে নতুন করে সাজাতে ব্যাস্ত সময় পার করছে। আমব্যাপারী আব্দুল আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে সাপাহারে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জন্য এখন পর্যন্ত কোন ব্যাপারী না এলেও ঠিক সময়মত তারা সাপাহারকে সরগরম করে তুলবে। দেশের অর্থনৈতিক সচলতার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই অনেক মার্কেট দোকান পাট খোলা ও রাস্তায় যান চলাচলে শিথীলতার কথা বলেছেন। আমবাজার বণীক সমীতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহা বলেন প্রতিবছর সাপাহারে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার আম বানিজ্য হয়ে থাকে আশাকরছি এবারেও তার চেয়ে বেশী হবে। কৃষি দপ্তর থেকে জানা গেছে সাপাহার উপজেলায় সাড়ে ৮হাজার হেক্টোর জমিতে আমের বাগান রয়েছে এবং প্রতিবছরের ন্যায় প্রতি হেক্টোর বাগান হতে গড়ে ১৫মে:টন আম উৎপাদন হয়ে থাকে এবারেও সেরকমই উৎপাদনের লক্ষমাত্রা আশা করা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সামনের ক’টা দিন আবহাওয়া আমচাষীদের অনুকুলে থাকলে এবারেও সাপাহার উপজেলার আমচাষীরা অনেক লাভের মুখ দেখবে বলে মনে করা হচ্ছে।