নওগাঁয় আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এতথ্য পাওয়া গেছে। এনিয়ে এজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৩ এ।
নতুন করে আক্রান্ত তিনজনই পুলিশ সদস্য। এরা হলেন, পত্নীতলা থানার একজন এসআই ও একজন কনষ্টেবল এবং নওগাঁ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন এসআই। এনিয়ে জেলায় পুলিশের মোট ৬ জন সদস্য আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র পত্নীতলা থানাতেই ৫ জন। এর আগে এই থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি), ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ও অপর একজন পুলিশের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মুনজের-এ মুর্শেদ জানান, সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে পাঠানো ই-মেইলে নওগাঁ থেকে পাঠানো ১৭৭টি নমুনার ফলাফল আসে। এদের মধ্যে তিনজনের করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্ত তিন পুলিশ সদস্যের সবাই আগে আক্রান্ত অন্য পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই পুলিশ সদস্য ও তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম জানান, করোনা পরিস্থিতিতে এসপির কার্যালয়, ডিবি পুলিশ, জেলার ১১টি থানাসহ পুলিশের প্রতিটি ইউনিট দুটি করে শিফট করে পুলিশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ কোনো ইউনিটের একটি গ্রুপ ডিউটিতে থাকতে অন্য গ্রুপ অফ ডিউটিতে থাকছে। এর ফলে কোনো গ্রুপের কোনো পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলে ওই গ্রুপের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং তখন অন্য গ্রুপটি পুলিশ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। ফলে পুলিশ সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হলেও থানা কিংবা পুলিশের কোনো ইউনিটের পুলিশ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না।
নওগাঁ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ২৩ এপ্রিল একজন নার্সের শরীরে। এরপর গত ২২ দিনে আরও ৭২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো এ জেলায়। এদের মধ্যে চারজন ডাক্তারসহ ১৬ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এই ৭৩ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১০ জন। এজেলায় করোনায় কেউ মারা যায়নি। জেলার ১১ উপজেলার মধ্যে এর আগে পর্যন্ত নওগাঁ সদর উপজেলা করোনামুক্ত ছিল। নওগাঁর ডিবি পুলিশের মাধ্যমে করোনা তার করাল থাবা বিস্তার করলো সদর উপজেলাতেও।