ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ। ৯ বছর সততা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে দায়িত্বের অবসান হয়। সরকারের দেয়া অর্পিত দায়িত্ব সততার সাথে পালন করতে গিয়ে এখনো দারিদ্রতা পিছু ছাড়েনি তার। তিনি মানুষের কাছে এখনও ভ্যান চেয়ারম্যান রাশিদ। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব শেষ। এরপর তিনি শুরু করলেন সবজি বিক্রয় করতে। কখনো নিজ উপজেলার মেডিকেলমোড়ে কখনো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরে বিক্রি করেন বিভিন্ন প্রকার সবজি। অসৎ চেয়ারম্যান হলে সবজি বিক্রয় করতে হতো না আবদুর রশিদকে এমন বক্তব্য উঠে আসে অনেকের কাছে। একদিন ভোলাহাট মেডিকেলমোড়ে সবজি বিক্রয়ের সময় নজর কাড়ে এ প্রতিবেদকের। সাথে সাথে সাবেক এ চেয়ারম্যানের সবজি বিক্রয়ের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটি দেশে ও বিদেশে ব্যাপক ঝড় উঠে। ৯ বছর গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার পরও যে ব্যক্তি সবজি বিক্রয় করে সংসার চালায় তার মত সৎ মহৎ আর কে হতে পারে এমন প্রতিক্রিয়ায় ঝড় উঠে দেশ বিদেশে। সংবাদটি তুরুষ্কের প্রথম শ্রেনির সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।আমেরিকা প্রবাসীর দৃষ্টি আর্কষণ হলে তার প্রতিনিধি পাঠিয়ে এমন সৎ মানুষের পাশে থেকে তার মাধ্যমে অসহায় মানুষকে সহায়তা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এমন যোগাযোগ হতে থাকার একসময় বিশে^ করোনার থাবায় জনজীবন অচল হয়ে পড়ে। এমন সময় সহযোগি ব্যক্তির অর্থায়নে গত বৃহস্পতিবার খালেআলমপুর গ্রামে ও শুক্রবার সাবেক এ চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ তার নেতৃত্বে নিজ বাড়ী বজরাটেক (গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন) উপজেলার ৪’শত অসহায় মানুষকে তুলে দিলেন ৫কেজি চাল, ১প্যাকেট মুড়ি, আধা কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ ও প্রায় ২/৩ কেজি মিষ্টি কুমড়া। এ সময় সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, তিনি সৎ জীবন যাবন করে ৯ বছরের চেয়ারম্যানের শাসন কাল কাটিয়েছেন। তখনো সৎ ছিলেন এখনো আছেন। সকল মানুষের পাশে তিনি সব সময় থেকে সেবা দিয়ে যাবেন বলে জানান। ত্রাণ পেয়ে খুশি উপস্থিত অসহায় মানুষেরা।