তানোরে ঈদের কেনা কাটায় মার্কেট ও দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঈদের কেনা কাঁটার এসব বাজারে স্বাস্থ্য বিধি’র কোন বালাই মানা হচ্ছে না। ফলে, সচেতন মহলে করোনার ভয় দানা বাধার পাশাপাশি আতঙ্ক ও উৎবেগের সৃষ্টি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ই মে) তানোর গোল্লাপাড়া বাজারসহ মুন্ডুমালা, চৌবাড়িয়া, কালীগঞ্জ, তালন্দসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সকাল ১০টাার আগেই সকাল ৬টা থেকে অনেক দোকানী তাদের দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করছেন এবং অনেক দোকানী বিকেল ৪টার পরেও সন্ধ্য ৭ পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছেন। তবে, অনেক দোকানীরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধে প্রতিসেধক রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানার ইচ্ছে থাকলেও ঈদ বাজারের কারণে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়ের কারণে মানা যাচ্ছেনা স্বাস্থ্য বিধির কোন নিয়ম।
অপর দিকে ক্রেতারাও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে হুমড়ি খেয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে ঈদের কেনা কাটা করছেন যেন কিছুই হয়নি। তবে, নারী ক্রেতাদের সংখ্যাই বেশি বলেও জানান বিক্রেতারা। এসব নারী ক্রেতারা তাদের নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় কেনা কাঁটার পাশাপাশি এবার বাচ্চাদের পোষাক কেনায় বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শিরা বলছেন, শাড়ী কাপড়ের দোকান, (রেডিমেট পোষাকের দোকান) গার্মেন্স, কসমেটিসক্্র ও জুতার দোকানেই বেশী ভীড়। ঈদ তাই কেনার জন্যই বাজারে আসা।
জানা গেছে, স্বল্প পরিষরে দোকান খোলার সরকারের নির্দেশনার সুযোগে কিছু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা সরকারের কোন নির্দেশনা মানছেন না। করোনো প্রতিরোধক কোন প্রতিসেধক দোকানের সামনের কোথাও রাখা থাকছেনা। অপর দিকে ক্রেতারাও এসব স্বস্থ্য বিধি মানতে চাচ্ছেন না এবং মানতে পারছেন না।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহতো বলেন, সরকারের নির্দেশ মানার জন্য এলাকায় নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে, মাঝে মাঝে জরিমানাও করা হচ্ছে, কিন্তু ঈদের কারণে হয়তবা অনেকেই মানতে পারছেন না। তবে, অচিরেই দোকান ও মার্কেট বন্ধের সরকারী নির্দেশনা আসবে।