করোনাকালে স্বপ্নমাখা বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রংপুর অঞ্চলের চাষিরা। জমি থেকে ধান তোলার সময়ে আর্থিক অসচ্ছলতা আর শ্রমিক সংকটে যখন অনেকেই দিশেহারা ঠিক এমনই পরিস্থিতিতে প্রান্তিক ধান কাটা-মাড়াই করতে কৃষকের সহযোগি হয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সহযোগি সংগঠন রংপুর জেলা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ। ফোন কল পেলেই হাতে কাস্তে আর কোমড়ে গামছা বেঁধে ছুটছেন তারা।
গত কয়েকদিনে তারা রংপুর মহানগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কযেকজন কৃষকের শতাধিক জমির ধান কাটা-মাড়াই করে গোলায় তুলে দিয়েছে জেলা ছাত্র যুব নেতা-কর্মীরা। এমন সংকটকালে ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ধান চাষিরা।
বৃহস্পতিবার রংপুরের পাগলাপীর এলাকার গোকুলপুর গ্রামের কৃষক শোভন চন্দ্র রায়ের ৬০ শতক জমির ধান কাটামাড়াই করে দিলো রংপুর জেলা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নেতা কর্মীরা।
রংপুর জেলা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রলাদ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে সংগঠনের একঝাঁক নেতা-কর্মী হাতে কাস্তে আর কোমরে গামছা বেধে মুখে মাস্ক পড়ে ধান কাটেন। উত্তপ্ত রোদে জমি থেকে ধান কেটে নিয়ে কৃষক শোভন চন্দ্র রায়ের উঠানে মাড়াইয়ের কাজ শেষে গোলায় তুলে দেন।
এদিকে দেশের ক্রান্তিলগ্নে ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বিনাপয়সায় এমন স্বেচ্ছাশ্রম পেয়ে আবেগ আপ্লুত ধান চাষিরা। শ্রমিক ও আর্থিক সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এগিয়ে আসা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কৃষক শোভন চন্দ্র রায়।
জেলা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রলাদ চন্দ্র রায় জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা হতে ফোন আসে। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাধ্যমত চেষ্টা করছে কৃষকের সহযোগি হয়ে তাদের ধান কাটা-মাড়াই করে দিতে।
এদিকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষকের সোনালী ধান গোলায় তুলে দিতে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।