দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ঘটছে মৃত্যূর ঘটনাও। অথচ করোনা যুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে পুলিশ বাহিনীটির সদস্যরা।
এ অবস্থায় শুক্রবার (১৫ মে) লালমনিরহাটের পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষিত রেখে মনোবল ঠিক রাখতে বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছেন পুলিশ সুপার। প্রতিটি থানায় গরম পানি ও পানি পরিষোধক মেশিনের ব্যবস্থার সাথে প্রত্যেক সদস্যকে সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে জেলার প্রবেশদ্বারগুলোতে করেছেন তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা।
বিশ্বজুড়ে মহামারী রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ছয় পুলিশ সদস্যের মৃত্যূ হয়েছে। আক্রান্তের তালিকাও বেশ বড়। অথচ করনো যুদ্ধে পুলিশ-ই সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে। তবে আশার বিষয় ভাইরাসটিতে লালমনিরহাটে এখনো কোন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়নি। তাদের সুরক্ষিত রেখে দায়িত্ব পালন নির্বিঘœ রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন পুলিশ সুপার। প্রতিটি থানায় স্থাপন করা হয়েছে ওয়াটার পিউরিফায়ার মেশিন। দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। এতে বেড়েছে বাহিনীর সদস্যদের মনোবল।
প্রবেশ-প্রস্থান ঠেকাতে জেলার প্রতিটি প্রবেশদ্বারে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। চলাচলকারীদের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টেইন নিশ্চিত করতে কাজ করছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এসব কাজের তদারকি করছেন পুলিশ সুপার নিজেই। প্রতিদিন কোন না কোন চেকপোষ্টে গিয়ে ইফতারে অংশ নিচ্ছেন তিনি।
লালমনিরহাটে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ১৬জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুইজন। সংক্রমিত জেলা থেকে ফিরে পাঁচজন অন্যান্যের মাঝে সংক্রমণ ছড়িয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।