অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন স্বপন। উচ্চ শিক্ষিত হলেও মাটির মানুষ।ঢাকার প্রথম সারির সফল ব্যবসায়ী।মিডিয়া বান্ধবও। কোম্পানীগঞ্জে তাঁর বাড়ী। ব্যবসায়িক কারণে বসবাস করেন ঢাকায়। অভিজাত একটি এলাকায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই বেলায়েত হোসেন স্বপনকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। সেই আলোচনা ঢাকার চেয়েও কোম্পানীগঞ্জেই হচ্ছে বেশি। রাজনৈতিক অঙ্গনের চেয়েও সাধারণ মানুষের কাছে তিনি এবার একজন মানবপ্রেমিক হয়ে উঠলেন। সেই গল্পটিই চলছে পাড়া-মহল্লায়। নানা শ্রেণি পেশার মানুষের মুখে। তাঁকে মানুষ খুব ভালবাসেন; এটার বাস্তবতাটা পাওয়া যাচ্ছে।তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে কোথাও কম আবার কোথাও একটু বেশি আলোচনা হচ্ছে। এতে কেউ কেউ ধারণা করছেন- বেলায়েত হোসেন স্বপন হয়তো সামনে রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করছেন- তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তবে রাজনীতি কিংবা নির্বাচন কোনটিকেই তিনি পাত্তা দিচ্ছেন না। তিনি এবার মানুষের কষ্ট দেখে নিরব থাকলেন না। সরব হয়ে অসহায় বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এসবের উদ্দেশ্য নিজের এলাকার মানুষকে ভালবাসা। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই কথাটি প্রমাণ করলেন এই বেলায়েত হোসেন স্বপন। তাঁর ওই যথার্থ ভালবাসা পেয়ে মানুষগুলো আজ মহাখুশী। আনন্দিত। সেটা মানুষের আলোচনার ধরণ দেখেই বুঝা গেল। কিন্তু এসব করছেন নি:স্বার্থভাবেই।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের অবহেলিত মানুষের প্রিয়জন বেলায়েত হোসেন স্বপন নামের এই মানুষটি বিগত কয়েক মাস যাবত বহু হতদরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। এতে যাকে যেভাবে পেরেছেন, খুশি করার চেষ্টা করেছেন।তিনি এখনো মোবাইল ফোন এবং তাঁর নিজস্ব কিছু মানুষের মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জের সেই চরাঞ্চলেও অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করছেন। তবে এসব সহযোগিতার কথা বেলায়েত হোসেন স্বপন একেবারে নিকটের মানুষদের কাছেও গোপন করেছেন। কারণ; তিনি কাউকে কখনো ছোট করার চিন্তাও করেননি। কোনো সময়তিনি মিডিয়ায় আলোচিত হওয়ার জন্য কিছু করেননি। যা কিছু করেছেন মানুষকে ভালবাসেন বলেই করেছেন। এভাবে নিরবে চলছে তাঁর এগিয়ে চলা। বলা যায়- সুন্দর একটা মন থাকলে কিভাবে মানুষকে ভালবাসতে হয়; এটি তিনি অন্যান্যের দেখিয়ে দিয়েছেন। সবাই চিরদিন বেঁচে থাকবেন না; থাকবে শুধু কর্ম। কর্ম ভাল করলে সবাই স্বরণ করবেন। আর খারাপ করলে ঘৃণা করবেন। এটি তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন। শুধু তাই নয়; তিনি বিগত দুুইযুগ ধরে সমাজসেবায় নিয়োজিত আছেন। এজন্য কোম্পানীগঞ্জের বেশিরভাগ মানুষ তাঁকে ‘স্বপন ভাই’ নামেই চিনেন। জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বেলায়েত হোসেন স্বপন বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। পদণ্ডপদবীর জন্য দলের হাইকমান্ডের কাছে কখনো ধর্ণা দেননি তিনি। দলের কেন্দ্রীয় অগণিত নেতার সাথে তাঁর চলাফেরা। দলের জন্যও তাঁর অবদান অনেক। ভদ্র ব্যবহারের কারণে অন্য দলের মানুষও তাঁকে ভালবাসেন। এরচেয়েও সাধারণ মানুষ তাঁকে প্রচ- ভালবাসেন। এটার প্রমাণ মিলেছে এবার কোম্পানীগঞ্জে।
সারাবিশে^র মানুষ যখন রোগ এবং খাবার নিয়ে টেনশনে তখন থেকেই তিনি মানুষের পাশে। বলতে হয়- নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও বেলায়েত হোসেন স্বপনের মতো মানুষের খবর রাখেননি। নিজের অসুস্থ শরীর। তারপরেও মানুষের খবর রাখা। পাশে থাকা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এসব কিছু বাস্তবে খুব কম সংখ্যক লোকের মাঝেই দেখা যায়। অসময়ে করোনার এই ছোবলে আক্রান্ত গোটা দেশ-কিংবা বিদেশ। সম্পদ থাকলে মানুষকে কিভাবে ভালবাসা যায়; মানুষের হৃদয় জয় করা যায় এটার বাস্তব নমুনা তৈরী করলেন এই বেলায়েত হোসেন স্বপন। তাঁর এসব কর্মের কারণে উপর্যুক্ত কথাগুলো আলোচনাও হচ্ছে গোটা কোম্পানীগঞ্জে। এরমধ্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির একটি গুরুত্বপুর্ণ পদে আসার জন্যই তিনি নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার সাধারণ মানুষদের চিন্তা-আগামীতে যে কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বেলায়েত হোসেন স্বপন। সেই জন্য তাঁর পক্ষে জনমত তৈরী করার লক্ষ্যে তিনি মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছেন। ওদিকে যারা তাঁর থেকে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা বলছেন-বেলায়েত হোসেন স্বপন লুটপাট করার জন্য কখনো অতীতে চেষ্টা করেননি। তাঁরমতো সৎ, যোগ্য ন্যায় পরায়ণ এবং দলের জন্য তথা মানুষের জন্য নিবেদিত মানুষ তেমন হয়না।তিনি যদি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মূখ্য দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সবার জন্য ভালই হবে। দলটিও এখানে তাঁর হারানো যৌবন ফিরে পাবে। নেতাকর্মীদের চাওয়া- পাওয়াটাও পূরণ হবে। তাছাড়া অতীতে বহু রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ তাঁর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।
সুতরাং, তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপিতে যথার্থ স্থান করে দেওয়া এখই দরকার। দলের অধিকাংশ তৃণমুল নেতাকর্মীও বেলায়েত হোসেন স্বপনকে দলের গুরুত্বপুর্ণ পদে দেখতে চায়। উপজেলার নানা জায়গায় বেলায়েত হোসেন স্বপনের আলাদা একটা ইমেজ তৈরী হয়েছে অনেক আগেই। সবকিছু মিলিয়ে তিনি মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় তথা শিক্ষানুরাগী হিসেবেও পরিচিত। কারণ; অনেক শিক্ষার্থীর গোপনে তিনি লেখাপড়ার খরচ দিয়েছেন; এখনো দিচ্ছেন। তবে বেলায়েত হোসেন স্বপন উপজেলা বিএনপির কোনো পদের জন্য লবিং করছেন না। কিংবা নির্বাচন করবেন-এমন সীদ্ধান্তের কথাও তিনি কাউকে জানান নি। বরং কারও বিতর্কিত কথায় তিনি সমাজের সেবামূলক কাজ থেকে দূরে থাকবেন না। মানুষকে সেবা করার জায়গায় বরাবরেই থাকবেন। স্বচ্ছ এবং সুন্দর ব্যবহারের অধিকারী বেলায়েত হোসেন স্বপন কেবল মাত্র মানুষকে ভালবাসা দিয়ে মানুষের হৃদয়ে বসবাস করতে চান। কারও বিন্দুমাত্র ক্ষতি কিংবা লোভ তাঁর পরিকল্পনায় নেই। তিনি মানুষের কল্যাণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও তিনি কখনো বিরক্তবোধ করেননি। মানুষকে মূল্যায়ন ঠিকই করছেন।এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যমতে, বিগত সময়ে বেলায়েত হোসেন স্বপন অসংখ্য গরীব মেয়ের বিয়ে, চিকিৎসা, লেখাপড়ায়, স্কুল-কলেজ, মসজিদণ্ডমাদ্রাসা এবং সামাজিক সংগঠনে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। আগামীতেও করবেন। তবে কোনো লোভে নয়; শুধু মানুষকে ভালবেসে। তিনি বেশকিছু শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানেরপৃষ্টপোষকও। বেলায়েত হোসেন স্বপন মনে করেন-আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে যথেষ্ট সম্মান দান করেছেন। এজন্য সব সময় শোকরিয়া আদায় করেন। তিনিশুধু সবার কাছে দোয়া এবং আন্তরিক ভালবাসাই প্রত্যাশা করেন।