লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে সাবেক রেলওয়ে কর্মকর্তার ও এক ব্যবসায়ীসহ মারা গেছেন দুই জন। শনিবার সকালে উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যায় ৬৩ বছরের বৃদ্ধ মোজাম্মেল হোসেন। এ ছাড়া ২৪ ঘন্টায় একই উপসর্গ নিয়ে মারা যান রায়পুর পৌর শহরের এক ডাব বিক্রেতা মিজানুর রহমান। শনিবার তাদের দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।
এদিেেক মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনদিন আগে মোজাম্মেল হোসেন ঢাকা থেকে জ্বর,সর্দি-কাশি,গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নিজ বাড়িতে আসেন। এ অবস্থায় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তিনি মারা যান।
লক্ষ্মীপুর জেলার সিভিল সার্জন আবদুল গফফার তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, মৃত দুই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত দু’জনের বাড়ীসহ প্রায় অর্ধশত বাড়ীর দু’শতাধিক লোককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে একই দিন জেলায় সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকের একজন স্বাস্থ্য কর্মীসহ আরো ৮ (আট) জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ জনে পৌঁছালো।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত মোজাম্মেল হোসেন বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথায় ভূগছিলেন। এ কারণে তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্টের জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে। সেই রির্পোট এখনও আসেনি। এ পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে তিনি মারা যান। এ ছাড়া একই উপসর্গ নিয়ে মারা যায় রায়পুর পৌর শহরের ডাব বিক্রেতা মিজানুর রহমানসহ দুই জন।
রায়পুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) তোতা মিয়া জানান, লকডাউনের মধ্যে ১৩ মে মোজাম্মেল হোসেন ঢাকা থেকে রায়পুরে চলে আসেন। এ সময় তার প্রবেশ পথে বাধা দেওয়া হলে তিনি অন্য সড়ক দিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার তার বাড়ি লকডাউন করা হয়। শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আরেকজন একই উপসর্গে মারা যায়। মৃত দু’জনের বাড়ীসহ প্রায় অর্ধশত বাড়ীর দু’শতাধিক লোককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।