রাজশাহী নগরীতে প্রথম করোনা ভাইরাস সনান্ত হওয়ায় এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে জনস্বার্থে আসন্ন ঈদুল ফিৎ্র পর্যন্ত শহরের সকল মার্কেট ও বিপণীবিতানসূমহ বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সাথে ব্যবসায়ী নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
রাসিকের জনসংযোগ শাখা থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- শুক্রবার (১৫ মে) বিকেলে নগর ভবনে মেয়রের দপ্তরকক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, আরডিএ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ মাদুদ হাসান, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নূরুন নবী, কাপড়পট্টি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, আরডিএ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ, নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, কাপড়পট্টি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, বিনোদপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, হড়গ্রাম মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতি ও স্বর্ণ জুয়েলার্স ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেন বলেও রাসিকের প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে সরকারি কর্মকর্তা, চেম্বার অব কর্মাস, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠত হয়। রাসিক মেয়র লিটন ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার উপস্থিস্তিতে অনুষ্ঠিত সে সভায় চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ২য় দফায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আবারো সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও সিদ্ধান্ত না আসায় পরবর্তীতে তৃতীয় দফায় শুক্রবার বিকেলে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সে সভাতেই নগরীতে কোভিট-১৯ এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে জনস্বার্থে আসন্ন ঈদুল ফিৎ্র পর্যন্ত শহরের সকল মার্কেট ও বিপণীবিতানসূমহ বন্ধের সিদ্ধান্তে সকলেই পৌছায়।
উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীর উপরভদ্রা এলাকায় প্রথম ব্যক্তি হিসাবে গত শুক্রবার এক নারীর শরীরে কোভিট-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। এ মহিলা পরিবারের সঙ্গে নরসিংদী বসবাস করতেন। গত ১০ মে তিনি ও তার ছেলে রাজশাহী ফেরেন। সে আসার পর তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তিনি নিজেই হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর করোনা সনাক্ত হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।