তানোরে মুন্ডমালা পৌর আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাইদুর রহমানের মানবতার হাত গ্রাম ছাড়িয়ে পৌছে গেছে শহরেও। গ্রামাঞ্চরের দরিদ্রদের সহায়তার পাশাপাশি রাজশাহী সিটি’র দরিদ্রদের জন্যও তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন তার মানবতার হাত। সম্প্রতি তিনি রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খারুজ্জামান লিটনের হাতে তার ত্রান তহবিলে হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা দান করেছেন। অপর দিকে করোনা প্রভাবের পর থেকে এখন পর্যন্ত মুন্ডমালা পৌর এলাকার প্রায় ৬হাজার দরিদ্র ও অসহায় কর্মহীনদের মাঝে নিজ তহবিল থেকে ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
দীর্ঘ ২০ বছর থেকে তিনি তার আয়ের ৩ ভাগই গরীবদেরকে দান করে থাকেন। গরীবদের দু:খ কষ্টের কথা শুনলেই তিনি সাধ্যমত বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। তার কাছে কিছু চেয়ে একেবারেই খালি হাতে ফিরেছেন এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। বলছিলাম মুন্ডমালা পৌর আ.লীগ সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাইদুর রহমানের কথা। ছোট থেকেই তিনি তার আয়ের একটা অংশ গরীবদের দান করা শুরু করেছিলেন। সেই থেকেই হাজারো কষ্ট ও সুখে-দুখে মানুষকে সহায়তা করা তার নেশায় ও অভ্যাস পরিনত হয়েছে।
অঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তার জন্য তিনি মুন্ডমালা বাজারের নিজের দ্বিতল ভবনের একটি বড় হলরুম প্রায় ১শ’র বেশি সেচ্ছাসেবী তরুণ ও যুবক অসহায় মানুষের জন্য চাল, ডাল, আলু, তেল, সাবানসহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী প্যাকেট করে দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন। এসব কর্মকাণ্ড দেখে এলাকাবাসী এই ঘরের নাম দিয়েছেন ‘মানবতার ঘর’।
ঈদেও যেন অসহায়, কর্মহীন ও হত-দরিদ্ররাদের মুখে হাসি ফুটে উঠে সেই জন্য তিনি প্রায় ৩ হাজার ৫শ’ দরিদ্র পরিবারকে (পোলাও) আতব চাল, চিনি, দুই রকমের সেমাই, গুড়ো দুধ, তেল, সাবান কর্মহীন ও অসহায় দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌচ্ছে দিয়েছেন।
এলাকার জনসাধারন বলেন, সাইদুর রহমানকে আমরা দীর্ঘদিন থেকে দেখছি এলাকার দরিদ্রদের বিয়ে শাদী, গরীব ছাত্রদের লিখা পড়াসহ বিভিন্ন ভাবে গরীরদের সহায়তা করে আসছেন তিনি। কর্মহীন হয়ে পড়া আদিবাসি ১ হাজার ৫শ’ পরিবার, ৩শ’ হোটেল কর্মচারী, খেটে খাওয়া গ্রামের ২ হাজার ৫শ, প্রতিবন্ধী ৩শ’ ও ২শ রিকসা-ভ্যান চালক, বাজারের নৈশ প্রহরীসহ ৬হাজারেরও বেশী পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌচ্ছে দিয়েছেন। ঈদ উপহার হিসাবে মন্ডুমালা পৌর এলাকার ৭৫টি মসজিদের ১শ’৫০টি ইমাম মোয়াজ্জিন এবং ৫০ জন এলাকার সুধিজনকে পাঞ্জাবি ও খাদ্য সামগ্রী পৌচ্ছে দিয়েছেন। এছাড়াও ৩হাজার ৫শ’জনকে ঈদ উপহার হিসেবে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও কাপড় প্রদান করেছেন।