রংপুরে করোনা আক্রান্ত হবার পরেও সেসব প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি লক ডাউন না করায় এবং আক্রান্ত ও তাদের পরিবার স্বাস্থ্য বিধি না মানায় সাধারন মানুষের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে রংপুরে জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার ম্যানেজার গোলাম ফারুখের করোনা পজিটিভ হওয়ায় ব্যাংকটি লক ডাউন না করায় ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিদের মাঝে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। একই ভাবেই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তার অফিস সহায়ক সাজ্জাদ হোসেন করোনা আক্রান্ত হবার পরেও ওই কার্যালয়টি এখনও লক ডাউন করা হয়নি। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
একই ভাবে গত ১০ দিনে রংপুর নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অর্ধশতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও সেই সব বাড়ি লক ডাউন করা হয়নি বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছে। ইতিমধ্যে রংপুরে আক্রান্তের সংখ্যা দুশ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের বেশীর ভাগই নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা অভিযোগ করেছে আক্রান্ত ব্যাক্তির লক ডাউন না করায় তাদের স্বজনরা প্রকাশ্য ঘোরাফেরা ও বাজার ঘাট করছে এতে করে সংক্রামিত হবার আশংকা করছে মানুষ।
এ ব্যাপারে রংপুর করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক ফকরুল ইসলাম বেজ্ঞু অভিযোগ করেছেন করেনানা আক্রান্তদের আলাদা ভাবে রাখা তাদের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লক ডাউন করা না হলে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বিষয়টি প্রশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখার আহবান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রংপুরের সিভিল সার্জেন ডা, হিরম্ব কুমার জানান জনতা ব্যাংকের ম্যানেজারের করোনাপজিটিভ হবার বিষয়টি তাদের ব্যাংকের জিএমের সাথে তার কথা হয়েছে তিনি একদিন সময় নিয়েছেন। অন্যদিকে করনা আক্রান্তদের বাসা লক ডাউন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।