জীবন ও জীবিকার তাগিদে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে। একারণে তানোরে খুলেছে বিভিন্ন মার্কেটের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে, লকডাউন শিথিল করার ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধ ও শর্ত মানা হচ্ছে না কোথাও।
ঈদের বাজার করতে ক্রেতারা মানছেন না স্বাস্থ্য সতর্কতা। তাই প্রতিদিনই করোনা ঝুঁকির আশঙ্কা বাড়ছে। রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সর্বত্রই এমনটি লক্ষ্য করা গেছে। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ মে সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে শুরু করেন। উপজেলার দুটি পৌর এলাকা ও উপজেলা সদরের বিভিন্ন মার্কেটে প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে ক্রেতা সমাগম। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না এসব স্থানে।
সকাল ১০টার আগেই খুলছে দোকানপাঠ। তবে, সন্ধ্যার পরও চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। উপজেলার গোল্লাপাড়া, তালন্দ, কালিগঞ্জ, চাঁন্দুড়িয়া, কাঁমারগা, মাদারীপুর, দরগাডাংগা, বিল্লি ও কৃষ্ণপুর হাট-বাজারে (১০ মে) রোববার থেকে আজ (১৭ মে) রোববার পর্যন্ত ১ সপ্তায় দেখা যায় ক্রেতাদের তুমুল উপচে পড়া ভিড়। ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রাখার পাশাপাশি তারা মানছেন না স্বাস্থ্য সতর্কতা।
এঅবস্থায় আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত সপ্তার ব্যবধানে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হক কয়েকটি স্থানে পৃথকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন।
তানোর গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সারোয়ার জাহান বলেন, দোকান মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত ছিল করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মাফিক সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা থাকবে। তবে কিছু কিছু দোকানী সমিতির সিদ্ধান্ত অমান্য করেই দোকান খুলে জনসমাগম ঘটিয়ে ব্যবসা করছেন এটা অস্বিকার করার কিছু নেই। ব্যবসায়ীরা যা শুরু করেছে তাতে প্র্রশাসন দুয়েক দিনের মধ্যে বড় ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানান তিনি।
তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, মানুষকে ঘরে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। খাদ্য সহায়তাসহ নানাভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। কিন্তু হাট-বাজারে সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মানায় করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সচেতন হতে হবে। তারা সচেতন না হলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে। দেশে দিন দিন করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।