নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় একটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও তিনটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার ভোরে সুখচর ইউনিয়নের ঘাসিয়ার চর এলাকার মেঘনা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়। সকালে উদ্ধারকৃত জেলে ও আটককৃত জলদস্যুদের হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃত জলদস্যুরা হচ্ছে, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার তালতলি ইউনিয়নের চরমার্টিন গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে পারভেজ (৩৫), রামগতি উপজেলার চরগজারিয়া এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে হারুন (৩৫), তার ভাই হাসান (৩৭), হাতিয়া উপজেলার চরকাদিরা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে বেলাল (৩২) ও ভোলা জেলার তজমুদ্দি এলাকার মফিজ মাস্টারের ছেলে হোসেন (২৬)। উদ্ধারকৃত জেলেদের মধ্যে ৮জনের বাড়ী হাতিয়া ও অপর একজনের বাড়ী সুবর্ণচর উপজেলার চরতরাব আলী গ্রামে।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানাযায়, গত ১৫মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চরঈশ্বর ইউনিয়নের ঠেঙ্গারচর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় ইব্রাহিম মাঝি নামের এক জেলের নৌকায় হামলা চালায় একদল জলদুস্য। এ সময় তারা ইব্রাহিম মাঝিসহ পাশ্ববর্তী আরও কয়টি নৌকায় হামলা চালিয়ে ৮ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দস্যুরা তাদের নিয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে এবং জনপ্রতি এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এরমধ্যে ইব্রাহিমের পরিবারের লোকজন দুস্যদের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে ২৫হাজার টাকা মুত্তিপণ পাঠায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড হাতিয়ার একটি দল ঘাসিয়ার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত জেলেদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও অস্ত্রসহ জলদস্যুদের আটক করে।
কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন কমান্ডার লে. বিশ্বজিৎ বড়-য়া বলেন, আটকৃত জলদস্যুদের বিরুদ্ধে দুস্যতা ও অস্ত্র আইনে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত জেলেদের তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।