কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হেসাখাল ইউনিয়নের আনজিয়া পাড়া দীঘির মাটি কাটা নিয়ে দু’ মালিক পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। আতদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রোববার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা যায়, উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ ভূঁইয়া আনজিয়া পাড়া দীঘিতে ৬৫ শতক সম্পত্তির মালিক। ওই দীঘিতে সকল অংশীদার সম্প্রতি মাটি কেটে নিয়ে গেছে। চেয়ারম্যান গত শুক্রবার মাটি কাটতে গেলে দীঘির পাড়ে তাদের গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে যাবে দাবী করে প্রতিপক্ষ হাজী অহিদুর রহমানের লোকজন বাধা দেয়। এরপর রোববার সকালে মাটি কাঁটার সময় স্থানীয় আনজিয়া পাড়া গ্রামের হাজী অহিদুর রহমানের লোকজন ও চেয়ারম্যান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, আনজিয়া পাড়া গ্রামের স্বপন মিয়া (৩০), আরবের রহমান (৫৫), অহিদুর রহমান (৬০), সাজেদা আক্তার (২৪), বানু মতি (৬৫), নাছির (৩৫), সোহেল (২৫)। অপর পক্ষের হেসাখাল গ্রামের জাকের হোসেন (৪০), এয়াছিন (২৮), তাজুল ইসলাম (২৯), শাকিল (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৭) আজিয়া পাড়া গ্রামের এয়াছিন (৩৫)।
এ ব্যাপারে হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা আনজিয়া পাড়া দীঘিতে সবছেড়ে বড় অংশিদার। ছোট অংশিদাররা তাদের মালিকানার ছেড়ে বেশী মাটি কেটে নিয়ে গেছে। পরে আমি আমার অংশের মাটি কাটতে গেলে তারা আমাকে আক্রমণ করে। এ সময় আমার আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে আসলে অহিদুর রহমানের লোকজন তাদের উপর হামলা করে তাদেরকে আহত করে।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই ওবায়দুল হক বলেন, এ ব্যাপারে হেসাখাল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ ভূঁইয়া লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।