তানোরে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিতে নিষেধ করায় প্রতিবেশীর হামলা ও মারপিটে নারীসহ ৮জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথশিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এঘটনায় ১৭জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা চুনিয়া পাড়ার ইদ্রিশ আলীর পুত্র মাহাবুর রহমানের বাড়ির পার্শে¦র রাস্তা দিয়ে ৬/৭টি বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছিলেন। গত (১৪ই মে) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আজিমুদ্দীনের পুত্র মাসুন রানা ও আতাউর রহমান তার লোকজন নিয়ে ওই রাস্তায় বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছিলেন। এসময় মাহাবুর ও তার পুত্র রকি রাস্তায় বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করতে নিষেধ করেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আতাউর রহমান (৪০) ও তার ভাই মাসুদ রানা (৪৫), সাজ্জাদ হোসেন পুত্র আলমগীর হোসেন (৪০) ও আনোয়ার হোসেন (৩৫)সহ প্রায় ১৫/২০জন লাঠি সোটা ও লোহার রড় নিয়ে মাহাবুর (৩৮) ও মাহাবুরের পুত্র রকি (১৮) কে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করতে থাকে।
এসময় বাচাঁনোর জন্য মাহাবুরের বড় ভাই সাইদুর রহমান (৪২), সেতাউর রহমান (৪০), মাহাবুরের ফুফু সাবিনা (৫০) ও জুলেখা (৪০), মাহাবুরের ভাবি মুরসেদা (৩৫) মাহাবুরের স্ত্রী রোজিনা (৩৭) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট কর হয়। পরে গ্রামবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এর মধ্যে রকি’র অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে রাপজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে রকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এঘটনায় গত শনিবার (১৬ই মে) রাতে ইদ্রিশ আলীর পুত্র মাহাবুর রহমান বাদি হয়ে আতাউর রহমানসহ ১৭জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।