কুমিল্লার হোমনায় খুন করে দুই বছর পর মাকে অপমান ও মারধরের প্রতিশোধ নিল এক ছেলে। থানা সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে বশির নামের এক যুবক একই এলাকার নজরুল ইসলামের কাছে আমড়া চেয়ে না পেয়ে কথা কাটাকাটি ও পরে ঝগড়া বেধে যায়। ওই ঘটনায় গ্রাম্য শালিস বৈঠকও হয়। শালিসে নজরুল ইসলামের স্ত্রী বশিরের মাকে অপমান ও মারধর করার কথা জানা যায়। তখন থেকেই প্রতিশোধ পরায়ণ হয় ওঠে বশির।
এরই জের ধরে সোমবার ফজর নামাজের পর মো. নজরুল ইসলামকে (৫৫) বাড়িতে গিয়ে খুন করে প্রতিশোধ নেয় বশির (৪০)। উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে খুনের এই ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া নজরুল ইসলাম ঐ গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে। থানায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেলা কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতকককে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে নজরুল ইসলাম নিজ ঘরে শুয়ে ছিলেন। এ সময় একই বাড়ির ইসলামের ছেলে বশির নজরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে চাচা চাচা বলে ডাকতে থাকলে তিনি দরজা খুলে বের হন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বশির তার কোমর থেকে ধারালো ছুরি বের করে নজরুল ইসলামকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে মারাত্মত আহত করা হয়। পরে তাদের আর্ত চিৎকারে স্থানীরা এগিয়ে এসে বশিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রফিকুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানায় আটক বশির খুনের কথা স্বীকার করেছে। তার স্বীকারোক্তি আনুযায়ী, গত দুই বছর আগে নজরুল ইসলামের কাছে আমড়া চেয়েছিলো বশির। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে শালিস বসে। ওই শালিসে নজরুল ইসলামের স্ত্রী বশিরের মাকে অপমান করাসহ মারধর করেন। তখন থেকেই সে এর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে হত্যার আসল রহস্য উদঘাটিত হবে।