করোনাকালে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেতন বা সেমিস্টার ফি মওকুফের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রসমাজ। একই সাথে বে-সরকারীর শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারী প্রণোদনার আওতায় এনে সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই আহ্বান জানান জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। একারণে অধ্যয়নরতদের বেশির ভাগই প্রাইভেট বা টিউশন করে পড়ালেখার খরচ চালিয়ে আসছেন। আবার অনেক শিক্ষার্থী টিউশনের টাকা দিয়ে নিজের বেতন সেমিন্টার ফি প্রদানের পাশাপাশি পরিবারকেও সহযোগিতা করেন। কিন্তু বর্তমানে করোনার বিস্তার রোধে সরকারী নির্দেশনায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতন জীবন যাপন করছে। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও একই অবস্থা।
এই নিদারুণ বাস্তবতায় জাতীয় ছাত্রসমাজ সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রাইভেট, কোচিং ও টিউশন বন্ধ থাকায় বেশির শিক্ষার্থী আজ চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা মাসিক বেতন তারা দিতে পারছেন না। বিশেষ করে বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ুয়া অনেক অসহায় শিক্ষার্থী সেমিস্টার ফি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঝড়ে পরার আশংকা করছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বেতন ও সেমিস্টার ফি মওকুফর পাশাপাশি বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক, কর্মচারীদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় এনে সহযোগিতা করার জন্য দাবি জানানো হয়।
এসময় জাতীয় ছাত্রসমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোবহান মজিদ বিদ্যুৎ, সহ সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আজিজ ড্যানি, আসলাম, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আলী, সদস্য মারুফুজ্জামান রিয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।