পিরোজপুরের কাউখালীতে মঙ্গলবার রাত থেকেই দমকা হাওয়া, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এবং থেমে থেমে মুষল ধারে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। উপজেলার পাঁচটি নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
একদিকে করোনার আতঙ্ক, তার ওপর ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে কাউখালীবাসীকে রক্ষায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বুধবার ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত জারির পর থেকেই উপজেলায় সতর্কতামূলক মাইকিং শুরু হয়। খুলে দেওয়া হয়েছে ১৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র। আজ সকালের দিকে কাউখালীর অনেকগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো লোকজন লোকজন আসতে শুরু করেছে।
উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগের আগেই মানুষ যাতে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে পারে, সে বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এ দিকে সন্ধ্যা নদীতে ঢাকা ও মোংলা গামী জাহাজ,কোস্টার,কার্গো গুলো নিরাপদ আশ্রয় গ্রহন করেছে।
প্রত্যন্ত এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা মনু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.খালেদা খাতুন রেখা রাত থেকে জনসাধারণকে সচেতন করতে নিরাপদে থাকার জন্য তাঁদের সতর্ক করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জি.এম সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে অবস্থানের সময় সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে জন প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করছেন।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.খালেদা খাতুন রেখা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি সুবিধাজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছি। সার্বিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রেখেছি আমরা।