সমুদ্রে চোখ রাঙাচ্ছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। উপকূল জুড়ে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি থাকলেও দিনভর কখনও ঘন কালো মেঘ আবার কখনও সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর নাগদ ভারি বর্ষণ শুরু হয়ে কিছুক্ষণ পর থেমে যায়। দমকা বাতাসের সঙ্গে থেমে থেমে ভারি বর্ষণ এই রির্পোাট লেখার সময় পর্যন্ত অব্যহত ছিল। ঝড়ো বাতাস বইছে, এ কারণে জনমনে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়রার নদী পাড়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। উপজেলার দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়নের হারেজখালী, বিনাপানি, উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাজীপাড়া বেড়িবাধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করার উপক্রম হয়ে পড়ে। গাতিরঘেরি, গাববুনিয়া, গাজিপাড়া, কাটকাটা,কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর কয়রা, ৪ নম্বর কয়রার পুরাতন লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা, মদিনাবাদ লঞ্চ ঘাট, ঘাটাখালি, হরিণখোলা, গোবরা, মহারাজপুর ইউনিয়নের উত্তর মঠবাড়ি, দশালিয়া, লোকা। মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি, নয়ানি, শেখেরটেক এলাকার বেড়িবাঁধ রয়েছে মারত্মক ঝুকিপুর্ন। উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান, দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়রা উপজেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকতা জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া কয়রায় ১১৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র ইতিমধ্যে ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহন করেছে। এর মধ্যে ৮০ টি আশ্রয়কেন্দ্রে খিছড়ি রান্না করে খাবার ব্যবস্থা গ্রহন করার পাশাপাশি শুকনো খাবার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ১৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাফর রানা বলেন, ঘুর্নিঝড় পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সিপিপির মাধ্যমে উপজেলার ১ হাজার ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জানিয়ে তারা নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে তারা স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, সার্বক্ষনিক কয়রা অবস্থান করে মানুষের জানমাল রক্ষায় দিন রাত কাজ করছে। তিনি সকালে বিভিন্ন ঝুকিপুর্ন বেঁড়িবাধ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন জন্য পাউবোর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন।