সুপার সাইক্লোন আমফান এর প্রচন্ড আঘাতে আশাশুনি উপজেলার সকল এলাকা এখন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রয়েছে। বুধবার (১৯ মে) দুপুরের পর থেকে প্রচন্ড ঝড়ে এলাকার গাছপালা ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। সাথে রয়েছে প্রচুর বৃষ্টিপাত। ভয়াবহ ভাঙ্গনের সম্ভাবনা রয়েছে কমপক্ষে ৩টি ভেড়ী বাঁধ। বাঁধগুলো টিকিয়ে রাখার সর্বশেষ চেষ্টা চালান হচ্ছে। উপজেলার ১০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪৩ সহ¯্রাাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে হালকা বাতাস ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। বুধবার দুপুরের পর থেকে সাইক্লোন স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে। সাইক্লোনের প্রভাবে প্রতাপনগরের কুড়িকাহুনিয়া, সুভদ্রাকাটি, শ্রীউলার হাজরাখালী ভেড়ী বাঁধের বড় অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবতি হতে পারে। এছাড়া চাকলা, কোলা, ত্রিমহনা, দিঘলারআইট, কল্যানপুর, হিজলিয়া, মাড়িয়ালা, কলিমাখালী, বলাবাড়িয়া, দয়ারঘাট-জেলেখালী, বিছট, ভোলনাথপুর, মনিপুর, খাজরা, কাকবাসিয়া, কেয়ারগাতি, নওয়াপাড়া, বুধহাটা, বাহাদুরপুর ও কুল্যা গ্রামের কাছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে ২৬টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রে আনা শুরু হয়। এপর্যন্ত ৪৩ হাজার ৫১০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তাদের জন্য এ পর্যন্ত ৪৪ মেঃটন চাল বরাদ্দ ও চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় ভাবে খিচুড়ি রান্না করে আশ্রয় কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে। সুপেয় খাবার পনি সরবরাহ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আইন শৃংখলা রক্ষা, মানুষকে ঘর থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা, সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মেহরাব ইসলামের নেতৃত্বে প্রতি আশ্রয় কেন্দ্রে মহিলাসহ ২ জন ভিডিপি সদস্য। উপজেলার সকল ইউনিয়নে হাজার হাজার গাছ ভেঙ্গে গেছে, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের গতি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, এসি (ল্যান্ড) শাহিনা সুলতানা, ওসি মাহফুজুর রহমান, সকল সরকারি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সিপিপিসহ বহু স্বেচ্ছাসেবক এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্যাপশান ঃ আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাহুনিয়া, হাজরাখালী, জেলেখালী-দয়ারঘাট ও সুভদ্রাকাটি পাউবোর ভেড়ী বাধের অবস্থা।