ঘুর্নিঝড়ে ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে নাদেরা বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও একজন। রাতে উপজেলার হলিধানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘর চাপা পড়ে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিাসার দিলিপ কুমাপর সরকার জানান, বুধবার রাতে স্বামী বুদোই মন্ডল ও স্ত্রী নাদেরা বেগম ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ২ টার দিকে ঘরের পাশে শতবর্ষী একটি বটগাছ উপড়ে তাদের ঘরের উপর পড়ে। এতে স্ত্রী নাদেরা বেগম মারা যায়। আটকা পড়ে আহত হয় স্বামী। খবর পেয়ে সকালে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে গাছ কেটে লাশ ও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
অন্যদিকে সুপার সাইক্লোন আম্পানে ঝিনাইদহে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৬ টি উপজেলায় রাতভর তান্ডব চালিয়েছে আম্পান। একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঝড়ে কলাগাছ, পাটক্ষেত, পানের বরজসহ সবজি ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও নষ্ট হয়েছে আম, লিচু। ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে অসংখ্য গাছ-পালা। ভেঙ্গেছে কাচা, পাকাণ্ডআধা-পাকা কয়েক হাজার বাড়ি ঘর। বুধবার বিকাল থেকে সারা জেলায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমারনাথ জানান, ঝড়ে একজন নারি মারা গেছেন,তার স্বামী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিবরন সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।