কালিগঞ্জে মসজিদের জেনারেটরে ল্যাপটপ চার্জ দিতে যেয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন মোজাফফর হোসেন (২৮) নামে প্রবাসী এক যুবক ও তার বৃদ্ধ পিতা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে। হামলায় গুরুতর জখম পিতা-পুত্র এখন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
হামলার শিকার মালদ্বীপ প্রবাসী মোজাফফর হোসেন জানান, তিনি প্রায় ৮ বছর যাবত মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। সেখানে তিনি একটি কোম্পানীর কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে চাকুরি করেন। ৩ মাস পূর্বে ছুটিতে বাড়িতে আসার পর লকডাউনের কারণে তিনি মালয়েশিয়ায় ফেরত যেতে পারেন নি। এমতাবস্থায় কোম্পানীর মালিক বাংলাদেশে বসেই কিছু দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে গত বুধবার আম্পান ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ল্যাপটপের চার্জ শেষ হয়ে যায়। কোম্পানীর জরুরি কাজ করার উদ্দেশ্যে তিনি পিতা আফছার আলীকে (৫৫) চৌবাড়িয়া মাঝের পাড়ায় অবস্থিত বায়তুল আমান জামে মসজিদের জেনারেটরে ল্যাপটপ চার্জ দেয়ার জন্য পাঠান। মসজিদে গেলে ল্যাপটপ চার্জ দেয়ার জন্য ৫০ টাকা দাবি করে ওই গ্রামের মেহের আলী কারিকরের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)। পরবর্তীতে ৪০ টাকা দিয়ে ল্যাপটপ চার্জে বসানোর ব্যবস্থা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয় মনিরুল ইসলামের ভাই রেজাউল (৩২), একই গ্রামের হযরত আলী সরদারের ছেলে সুমন হোসেন (২৮), তার ভাই রিপন হোসেন (২৫), কামাল সরদারের ছেলে হামজা (২৫), ইসলাম গাজীর ছেলে সবুর হোসেন (৩২)। তারা ল্যাপটপ চার্জ দিতে না দিয়ে জোরপূর্বক আফছার আলীকে সেখান থেকে বের করে দেয়। কারণ জানতে চাইলে আকস্মিক ভাবে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। তাদের হামলায় রক্তাক্ত জখম হন তিনি। মারপিটের খবর পেয়ে মোজাফফর হোসেন ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে তারা। হামলায় মাথা, মুখমন্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত বের হয়ে পরিহিত জামাকাপড় ভিজে যায়। স্থানীয়রা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে রাতে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিরকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, মোজাফফর হোসেন ও তার পিতা আফছার আলীর জখম গুরুতর। তবে তারা এখন শঙ্কামুক্ত।
এব্যাপারে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হুসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।