প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর কারণে অনেকের ঘরের বা কারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। গরীব ও অসহায় মানুষের মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। সেই তাবার থামার পর ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই বেড়েছে টিন বিক্রি। শুক্র ও শনিবার টিন বিক্রির দোকান গুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে।
শনিবার কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করে টিন বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে। টিনের দোকান গুলোতে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কথা বলে জানা গেছে, ঈদের বাজার ও জামা-কাপড় বাদ দিয়ে টিন কিনতে এসেছেন।
কালীগঞ্জ শহরের মধুসুদন ট্রেডার্সে টিন কিনতে আসা উপজেলার রায়গ্রাম এলাকার সামছুল ইসলাম বলেন, টিনের চালার ৩ কক্ষের বাড়ি ছিল। দুটি ঘরের টিন উড়ে গেছে। ঘরে থাকা টাকা দিয়ে টিন কিনলাম উপরে দেয়ার জন্য। কারণ টিন না দিলে ঘরে থাকা সম্ভব না। এ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি করে দিয়েছে আমাদের।
ছোট ঘিঘাটি এলাকার মুদি দোকানী কাদের আলী বলেন, এমনিতেই করোনার কারণে আগের মতো ব্যবসা নেই। তারপর এই ঝড়ের কারণে দোকানের সব টিন উড়ে গেছে। কিছু টাকা ছিল যেটা দিয়ে ঈদের বাজার করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঝড়ের কারণে টিন কিনতে হচ্ছে। অনেকে বলছে তাদের নগদ টাকা নেই,আবার মাঠে রয়েছে পানিতে ভিজে যাওয়া পাকা ধান। ধান বিক্রি করতে না পারার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের টিননকিনতে পারছে না। অনেকে বলছে দোকানিরা সুযোগ বুঝে টিনের দাম একটু বেশি নিচ্ছে।
কালীগঞ্জ শহরের মধুসুদন ট্রেডার্সের মালিক মধুসুদন পাল বলেন, অনেক কোম্পানির টিন ফুরিয়ে গেছে। করোনার কারণে এর আগে তেমন বিক্রি ছিল না। ঝড়ের পরের দিন থেকে বেশ বিক্রি বেড়ে গেছে। তাই ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে এখন ঈদের বাজারের চেয়ে টিনের দোকানে বেশি ভীড় দেখা যাচ্ছে।