বরগুনার পাথরঘাটায় করোনা মহামারী ঠেকাতে প্রশাসন হার্ডলাইনে। সামাজিক দূরত্ব না মানায় গার্মেন্টস, কাপড়ের দোকান ও পানের দোকানীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জড়িমানা আদায় করা হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত পৌরশহরের অগ্রণী ব্যাংক রোড,সদর রোড, মাছ বাজার, পূর্বমাথা বাকালীপট্টি, গার্মেন্টস ও কাপুড়িয়া পট্টি,গোলচত্বর,নিউমার্কেট রোড,রূপালী ব্যাংক রোড সহ বেশ ক'টি মার্কেটে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারী থেকে পাথরঘাটাবাসীকে রক্ষা করা আমাদের দ্বায়িত্ব। যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে বিকিনিকি করে না কিংবা মাস্ক ব্যবহার করে না তাদের কোনো ছাড় দেয়ার সূযোগ নেই।
উল্লেখ্য, শনিবার পাথরঘাটায় সেমাইসহ মেয়াদোত্তীর্ন ভোগ্যপন্য রাখার দায়ে আরও ৪ দোকানীকে অর্থদন্ড দেন তিনি।
রবিবারের অভিযান চলাকালে মাছ বাজারে সরকারি তালিকা না রাখার দায়ে এবং চাঁদাবাজী এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ১কিশোর অপরাধিকে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে এবং ইজারদার সহ অপর ৩ ব্যক্তিকে থানা হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এসময় পৌরমেয়র মো.আনোয়ার হোসেন আকন ও পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান খান ছুটে আসেন এবং তাদের উপস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয় ওই ৪ জনকে। বাজারের হাস-মোরগের ড্রেসিং মেশিন মালিকপক্ষ আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রটের কাছে পৌরমেয়র।
এসময় কোবিড -১৯ করোনাকালে এখানে দ্বায়িত্বরত নৌবাহীনির লে.কমান্ডার মো.শামস্ সহ পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।