রাজশাহীর তানোরে চা-বিক্রেতাকে হত্যার দায়ে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে তানোর থানা পুলিশ। গত (২৬ মে) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমশো মেডিকেল মোড় নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ (২৭ মে) বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফিরোজ (৩৮) আওয়ামী যুবলীগ কর্মী ও সমর্থক। তিনি তানোর পৌর এলাকার আমশো গ্রামের মৃত হামেদ কবিরাজের পুত্র। একই গ্রামের চা-বিক্রেতা নিহত একরাম (৪৬) বিএনপি কর্মী ও সমর্থক। তার পিতা মৃত রিয়াজ মন্ডল।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন সময়ে ফিরোজ একরামকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলো। এঅবস্থায় গত ১২ মার্চ রাত ৮টার দিকে একরামের চায়ের দোকানে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে ফিরোজ। এহেন আচরণের কারণ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠের খড়ির চলা দিয়ে একরামের মাথায় আঘাত করা হয়। এতে গুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় একরাম। এসময় একরামের ছোট ভাইয়েরা ছুটে এসে ফিরোজকেও বেধড়ক পেটায়। পরিস্থিতি ভয়াবহ লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আহত একরামকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে একরামের অবস্থা বেগতিক লক্ষ্য করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) রেফার্ড করেন।
পরবর্তীতে রামেক হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় একরামের মৃত্যু ঘটে। এদিকে, একরামের মৃত্যুর খবর শোনে ফিরোজ কবিরাজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে, ঈদের দিন এলাকায় আসে ফিরোজ। কিন্তু ওই সময় ঘটনার ৪ দিন পর অর্থাৎ (১৬ মার্চ) সোমবার রাতে নিহতের ভাই আবুল কালাম (৪০) বাদী হয়ে তানোর থানায় ফিরোজ কবিরাজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) লুৎফর রহমান ফিরোজ কবিরাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, হত্যা মামলার সূত্র ধরে আসামী ফিরোজ কবিরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীকে আজ (২৭ মে) বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিধি মোতাবেক জেলহাজতে পাঠানো হয়।