কুড়িগ্রামের উলিপুরে বৌভাতের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মিরা। বৃহস্পতিবার সকালে ধরলা নদীতে ডুবে যাওয়া স্থানেই রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যর একটি ডুবুরী দল প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে দুপুর ১২টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার।
জানা গেছে, উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা রায়পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের কন্যা নাজমা খাতুন(১৮)এর সাথে পার্শ্ববর্তি বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ধরলা নদী বিচ্ছিন্ন চর কলাকাটা নামানির চর এলাকার আবদুল হাই এর পূত্র আলমগীর হোসেন(২২)এর সাথে গত মঙ্গলবার বিয়ে হয়। বুধবার বরের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মেয়ে পক্ষের প্রায় ৪৫ থেকে ৫০জন লোক ইঞ্চিন চালিত নৌকা নিয়ে বাড়ির ফেরার জন্য রওনা দেন। ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হলে নৌকায় থাকা লোকজন বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে পলিথিন নিয়ে টানাটানি শুরু করলে নৌকাটি উল্টে যায়। এ সময় অন্যান্য লোকজন সাঁতরিয়ে কিনারায় আসতে পারলেও কনের বাবা নুর ইসলাম(৫০)সহ একই গ্রামের কেরামত উল্ল্যার পূত্র নুর ইসলাম (৫২), সোনাউল্লাহর পূত্র কামরুজ্জামান (৫৫) ও তৈয়ব আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম(৫০) নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মিরা ঘটনাস্থলে আসলেও ডুবুরী না থাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি। এ ঘটনার ২০ ঘন্টা পর রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যর ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে এসে সাড়ে ৩ঘন্টা অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এ- সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার বলেন, রংপুরের ৪ সদস্যর ডুবুরীদল এবং উলিপুর ও কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ ৪ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।