রাজশাহীর মোহনপুরে করোনা যুদ্ধে জয়ী ৩ জনকে ফুল, আপেল, কমলা, মাল্টা, তরমুজ লিচু হাতে দিয়ে মেডিকেল ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পক্ষ থেকে প্রায় ৩১ দিন ধরে করোনাযুদ্ধে লড়াই করে জয় পেয়েছেন তাঁরা। করোনা যুদ্ধে জয়ীরা হচ্ছেন উপজেলার কেশরহাট পৌর এলাকার হরিদাগাছী গ্রামের জেসমিন (২৪) ও আলামিন (২৫) জাহানাবাদ ইউনিয়নের তশোপাড়া গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন (২৮) করোনামুক্ত হয়েছেন। তাঁদেরকে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ও পুলিশ প্রশাসন অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. আরিফুল কবির বলেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠায় তিনজনকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। কোনোভাবেই যেন তাঁরা মনোবল হারিয়ে না ফেলেন, সে জন্য উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।
গত ১৫, ২২, ২৮ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় এই তিনজনের। তারপর থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) ছিলেন। শেষ হওয়ার পরে চারবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চারবারই প্রতিবেদন ‘নেগেটিভ’ আসায় তাঁদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ছাড়পত্র পাওয়া ৩ জনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-গাজিপুর-ঢাকা ফেরত। জেসমিন ও আলামিন পোশাক কারাখানায় কর্মরত। ফারুক একটি প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার ।
ছাড়পত্র পাওয়ারা বলেন, শরীরে কোনো প্রকার জ্বর-সর্দি-কাশি কিছুই ছিল না। কিন্তু নমুনা পরীক্ষায় যখন করোনা পজিটিভ হয়েছি, তখন থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলেছি। আমরা করোনা পজিটিভ হওয়ার পর ডিসি, টিএইচও, ইউএনও, ও ওসি সব সময় আমার খোজ খবর নিয়েছেন। তাঁরা পরিবারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও বাজার করে দিয়েছেন। নিকট আত্মীয়ের মতো পাশে থাকার জন্য আমরা তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানায়।
ডা: আরিফুল কবির বলেন, ছাড়পত্র পাওয়া তিনজনের আগের ন্যায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে কোনো বাঁধা নেই। তারপরও আরও কয়েক দিন তাঁদের বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনাযুদ্ধে জয়ীদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, মেডিকেল অফিসার ডা: হাসানুল জাহিদ, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু ডা: ইসমাইল হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা: আকতার হোসেন, মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তাক আহম্মেদ, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আল মামুনুর রশিদ, ডিএসবি এসআই আকবর আলী, এসআই মিজানুর রহমান সহ মেডিকেল স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন।