ফরিদপুর বোয়ারমারী উপজেলার রুপাপাত গ্রামে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের বসত বাড়ী ভাঙচুর- অগ্নিসংযোগ ও লুটপাতে ঘটনায় গত আট দিনেও থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার রুপাপাত বাজারের স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে কয়েকশ বিক্ষুদ্ধ জনতা।
এই মানববন্ধনে ব্যানারে উল্লেখ্য করা হয়, একটি হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আসামী করায় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের বসতবাড়ী ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন।
ঘণ্টা ব্যাপী মাববন্ধন চলাকালিন সময়ে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, রুপাপাত ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপির দু গ্রুপের দীর্ঘ দিনের বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়। এই ঘটনায় পরিকল্পিত ভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নিরুল মিয়াকে আসামী করা হয়। কিন্তু ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়।
তারা বলেন, ওই সংঘর্ষের পরেই রুপাপাত গ্রামে আওয়ামী লীগের ১৯ নেতাকর্মীর বসতবাড়ী ভাঙচুর- অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। কিন্তু ঘটনার আট দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো মামলা নেয়নি। তারা প্রশাসনের কাছে বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া আহবান জানান।
এঘটনায় তারা প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার দাবী ও পুলিশি হয়রানি বন্ধে ও আটক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের মুক্তির দাবী জানান।
মানববন্ধনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. কোবাদ হোসেন, আ’লীগ নেতা মো. মাহিদুল হক, শিলা পারভীন বক্তব্য রাখেন।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, রুপাপাতে গত ১৯ তারিখের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা ও পুলিশ সদস্য আহতের ঘটনায় আরো একটি মামলা হয়েছে ।
তিনি বলেন, উভয় মামলায় এখন পর্যন্ত নয় আসামীকে আমরা গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি ।
বসতবাড়ীতে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে, দ্রুতই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে বোয়ালমরারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নে আধিপত্য নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন গ্রুপ ও বিএনপি সমর্থক ইলিয়াস মেম্বর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এতে মোশাররফ গ্রুপের বাকিয়ার মিয়া নিহত হয়। পরে তার স্ত্রী বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় ১৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।