সারাদেশে বাড়ছে মানবিক সহায়তা বিতরণ। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পৃথিবী নামক এই গ্রহে মানুষের জন্য বেঁচে থাকা আজ সত্যিই দুঃসহ হয়ে উঠেছে। কি এক অদৃশ্য শত্রু সব সময় তাড়িত করে চলেছে। মানুষ আজ সত্যিই আসহায়-প্রকৃতির কাছে। এই সমাজের মধ্যে যারা দরিদ্র্য বা গৃহহীন রয়েছেন, তাদের জন্য তো বেঁচে থাকা প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিযোগিতার। দুনিয়াজুড়ে এই মানুষের সংখ্যা মোটেই কম নয়। নিজের দেশে তো নয়-ই। গত কয়েক মাসে পৃথিবীর বিশাল বিশাল দেশের স্তম্ভ কাঁপিয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে এসে উপস্থিত হয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাস কোভিড-১৯। করোনা ভাইরাস যার প্রচলিত নাম। বাংলাদেশের মতো খুব ছোট অথচ ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে এর ভায়াবহতা রোধ নিশ্চই সরকারের একার পক্ষে যথাযথ সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলায়ও প্রায় তিন শতাধিক এই মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন। এমন সংকটকালে সকলের সহযোগিতা অবশ্যই দরকার। ইতিমধ্যে দেশের বড় বড় বণিক শ্রেণি তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে পিছিয়ে নেই শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন। তাঁর মানবিকতায় হাসি ফুটে তাড়াইল করিমগঞ্জের অসহায় মানুষের।
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব মো: এরশাদ উদ্দিন করোনা দুর্যোগে প্রায় তিন হাজার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এত তিনি বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। অনেকেই ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে পোস্ট করে প্রশংসার জানান দিয়েছেন। সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছেন মানবিক কর্মের। তিনি শুধু করোনাকালেই না সবকালেই অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এতে প্রতিহিংসার রোষানলেও পড়েছেন। ঢাকার চার দেয়ালের ভেতরে না থেকে গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁিড়য়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন “এরশাদ উদ্দিন মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান” ও “বাংলাদেশ মিল স্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়োশনের” সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই শিল্পপতির মানবিকতায় হাসি ফুটেছে দুস্থ, অসহায় আর কর্মহীন মানুষের মুখে। মানবিক এই কার্যক্রম সম্পন্ন করে জায়গা করে নিয়েছেন হাজারো পরিবারের অন্তরে। তিনি নিজে গাড়িতে করে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবী ও অসহায়-দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এমনকি জেলা সদরের অনেক পরিবারের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকেন শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন। করোনার এই দুর্যোগের সময় এসি রুমে না থেকে যেভাবে গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তিনি অকাতরে বন্টন করেছেন উপহার সামগ্রী। এতে করে তিনি গ্রামের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের নয়ণমনি হয়ে ওঠেছেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন সকলের প্রিয় এরশাদ ভাই,মানবিক নেতা এরশাদ ভাই।