পাবনার চাটমোহরে পুলিশ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর গ্রামের বড়াল নদীর পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের অমৃতকুন্ডা গ্রামের মৃত দুলাল দাসের ছেলে শংকর দাস (৩৫)। এ সময় পুলিশ লাশের পাশ থেকে ও প্যান্টের পকেট থেকে নগদ টাকা,৩টি মোবাইল ফোন সেট ও মদের বোতল জব্দ করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের কথিত প্রেমিক অমৃতকুন্ডা গ্রামের মনি দাসের মেয়ে রত্না দাস (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ। লাশটি রত্না দাসের মামা বোঁথর গ্রামের শম্ভু দাসের বাড়ির দক্ষিণ পাশে পড়ে ছিলো। রত্না দাস মামার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
এলাকাবাসী জানান,শংকর দাস বৃহস্পতিবার বোঁথর গ্রামে আসেন। সে রত্না দাসের সাথে বোঁথর চড়ক বাড়ি এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। শুক্রবার সকালে শংকরের মৃতদেহ রত্নার মামা শম্ভুনাথ দাসের বাড়ির দক্ষিণ পাশে বড়াল নদীর উত্তরের পাড়ে বাঁশ ঝাড়ের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রত্না দাসকে থানায় নিয়ে যান।
রত্না দাস এ প্রতিনিধিকে জানান,শংকরের বাড়ি ও তাদের বাড়ি একই সাথে। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্ব। বিয়ের পরও মাঝে মধ্যেই মোবাইল ফোনে দু’জনের কথা হতো। বৃহস্পতিবারও মোবাইল ফোনে কথা হয় এবং বোঁথর চড়ক বাড়িতে দেখা হয়েছে,কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোন প্রেম ছিলো না। মারা যাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন জানান,শুক্রবার ভোরে এলাকাবাসী বড়াল নদের পাড়ের একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে ওই যুবকের মরদেহ শনাক্ত করেন। তিনি আরও জানান, মরদেহের পাশে পড়ে থাকা বোতলে বাংলা মদ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মদ পানেই শংকর দাস নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন জানান,লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য পাবনা পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রত্না দাসকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।