রাজশাহী জেলার মধ্যে তানোর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ উপজেলায় সর্বোচ্চ ১০ জন শুধু পুরুষ মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে আবার কেউ সুস্থ হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
তবে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহীর আরেক উপজেলা পুঠিয়া। এ উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ জন। গত ১২ এপ্রিল এ উপজেলাতেই রাজশাহীর বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২৯ মে) সকালে সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, রাজশাহীতে এ পর্যন্ত ৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এখনও চিকিৎসাধীন ৩৫ জন। তানোরে সর্বোচ্চ রোগীর সংখ্যা ১০ জন। তবে, এ উপজেলায় কেউ মারা যাননি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। এ ছাড়া বাঘা উপজেলায় ৫, দূর্গাপুরে ৩, বাগমারায় ৩, মোহনপুরে ৬ এবং পবায় ২ জন শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, জেলার গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলা এখনও করোনামুক্ত রয়েছে। করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে এ পর্যন্ত চারঘাটে ১১৮ ও গোদাগাড়ীতে ৬০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। চারঘাটে এখন কেউ কোয়ারেন্টিনে নেই। তবে, গোদাগাড়ীতে এখনও ২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোজী আরা খাতুন জানান, তানোর উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের হাঁপানিয়া দোগাছী গ্রামে। ভারত ফেরত এক যুবক।
এ পর্যন্ত ১০ জন করোনা রোগী এ উপজেলায় শনাক্ত হয়েছে। তবে, এদের মধ্যে তানোর থানার একজন পুলিশ কন্সটেবল আরেকজন পরিছন্ন কর্মী। এরা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি এসেছেন। তবে, আর সব করোনা আক্রান্তরা হলেন সবাই ঢাকা ফেরত শ্রমিক বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।