পারিবারিক বিরোধের জেরে লক্ষীপুরে দেড় বছরের শিশু হাবিবুর রহমানের শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামলার আসামি খুকি বেগমকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। শুক্রবার ভোররাতে ওই এলাকা থেকে খুকি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শিশুর দাদা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গুরুতর আহত শিশু হাবিবুর রহমান বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিউতে ভর্তি রয়েছে। তার অবস্থায় আশংকাজনক। শিশু হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার চর পার্বতীনগর এলাকার মো. নুর নবীর ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়,সদর উপজেলার চরপার্বতীনগর এলাকার লাতু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী খুকিদের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে ১১ মে বিকেলে খুকি কৌশলে শিশু হাবিবকে তার ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে খুকি শিশুটির শরীরে ৩টি বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে। চিৎকার শুনে মা ও বোন গিয়ে খুকির ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এদিকে বিষক্রিয়া হয়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আইসিওতে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, দিনদিন শিশুটির অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত একে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে শিশুকে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ইনজেকশনের সিরিঞ্জসহ আলামত জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।