পিরোজপুরের নাজিরপুরে লোহার ব্রীজের বিক্রি করা মালামাল সহ স্থাণীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ২ মে শুক্রবার উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থাণীয়দের হাতে আটোক হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নাম মো. বেলায়েত হোসেন বুলু। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। স্থাণীয় প্রত্যক্ষদর্শী অনিত হাসান জানান, ওই দিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন বুলু ওই ইউনিয়নের তারাবুনিয়া বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদে থাকা ব্রীজের ভীম সহ বিভিন্ন লোহার মালামাল বিক্রি করে দেন। পরে ওই সব মালমাল এর ক্রেতা নসিমনে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থাণীয়রা উপজেলার ভাইজোড়া বাজার থেকে নসিমন সহ তা আটক করেন। এ সময় চেয়ারম্যান ওই মালামাল ছাড়িয়ে নিতে সেখানে গেলে স্থানীয় জনতা তাকেও অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্থাণীয় সরকার প্রকৌশলী ও থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই সব চোরাই মালামাল ও তা বহন করা নছিমন সহ এর ক্রেতা মো. ই¯্রাফিল ইসলাম শেখ (২৩) কে আটক করা হয়। ক্রেতা ই¯্রাফিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা এলাকার মৃত সিরাজ শেখের পুত্র। তিনি টুঙ্গিপাড়া এলাকায় পুরাতন লোহার ব্যবসা করেন। ক্রেতা ই¯্রাফিল জানান, চেয়ারম্যান ওই দিন সকালে তাদের কাছে ৮শত ৮০ কেজি লোহার মালামাল ২২টাকা দরে ১৯হাজার ৩৬০টাকায় বিক্রি করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই দিন দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবীতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে স্থাণীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করেন। স্থাণীয়রা জানান, ওই ইউনিয়নের মধ্যবানিয়ারীর অজয় মন্ডলের বাড়ির কাছে একটি নতুন ব্রীজ নির্মান হচ্ছে। সেখানে থাকা পূর্বের আয়রন ব্রীজের লোহার মালামাল ইউনিয়ন পরিষদে এনে রাখা হয়েছিলো। ওই চেয়ারম্যান এর আগেও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের আয়রন ব্রীজের মালামাল গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই ব্রীজের ঠিকাদারী কাজের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় আ’লীগ নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম বিলু জানান, ওই ইউনিয়নের মধ্যবানিয়ারী গ্রামের অজয় মন্ডলের বাড়ির কাছে একটি ব্রীজ নির্মানের কাজের ঠিকাদারি করছি। কাজ শুরুর আগে সেখনে থাকা একটি ব্রীজের লোহার ব্রীজের মালামাল ওই ইউপি’র চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়। ওই মালামাল চেয়ারম্যান গোপনে বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন বুলু জানান, ওই লোহার মালামাল বিক্রি করা হয় নি। ওই দিন তা মেরামতের জন্য গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পাঠানো হচ্ছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ওবায়দুর রহমান জানান, ওই মালামাল সহ ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের খবর শুনে উপজেলা প্রকৌশলী সহ থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে একটি নছমিনে ভর্তি লোহার মালামাল উদ্ধার ও তার ক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।