ফরিদপুরের মধুখালী মরিচ বাজারের চা ও মুদি দোকানদার বিপ্লব সাহা দোকানের কর্মচারী বুদ্ধি প্রতিবন্ধি তাপস(১৩) কে পাওনা বেতন চাওয়ায় গরম খুন্তি,গরম স্টিলের পাইপ দিয়ে ঘাড়ে, হাতে পিঠে এবং গরম পানি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধা ৬ টার দিকে।
জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি তাপস প্রায় ১ বছর ধরে বিপ্লব সাহার চা ও মুদি দোকানে কাজ করে আসছে। শুধু খাবার দিয়ে কাজ করানো হতো। তাপস ৪/৫ মাস আগে বেতন দাবি করে। এ সময় বিপ্লব রাজি হয়। কয়েকদিন যাবৎ তাপস পাওনা বেতন চাইলে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে মারধর করা হয়। সন্ধা ৬ টার দিকে গরম খুন্তি, স্টিলের গরম পাইপ দিয়ে শরীরের উল্লিখিত স্থানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে পুলিশ বিপ্লব সাহার বাবাবিমল সাহা ও তার ছোট ছেলে পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে তাপসকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর ডাক্তাদের তার শারিরীক অবনতি হয়। দীর্ঘ সময় পর তাপসের শরীরে স্যালাইন পুশ করলে প্রচুর রক্তক্ষরন শুরু হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. কবির সরদার জানান, চিকিৎসায় অবহেলা হয়নি। সাথে কোন লোক না থাকায় হঠাৎ রক্তক্ষরন হয়েছে। শনিবার সকালে তাপসের শরীরে এক ব্যাগ রক্ত পুশ করা হয়েছে।
মধুখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দু জনকে আটক করা হয়েছে। দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান হাসপাতালে আহত তাপসকে দেখতে যান।