মোল্লাহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত (যখম)’র ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় উভয় গ্রুপের দুই জন আটক হয়েছে। এ ছাড়া গ্রামবাসীর জান-মালের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নজর দারিতে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম শাহিদ ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেনের পৃথক দুইটি গ্রুপ রয়েছে।
গত ২৫ তারিখ ঈদের দিন ছেলেদের বেলুন ওড়ানোরমত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ ও ২৬ তারিখ দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে কয়েক দফা হামলা-প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৭ তারিখ বিকেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে গাংনী রহমত পাড়া এলাকার বাদশা সরদার (৪০) নিহত ও উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন যখম হয়।
ওই ঘটনায় নিহত বাদশা সরদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের বাদীত্বে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ শাহিদুল ইসলাম শাহিদের গ্রুপের ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু হয়। যার নং-১৭, তাং-২৯/০৫/২০, ধারাঃ-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০২/৩৭৯//৩৪/১১৪। ওই মামলার আইও পুলিশ পরিদর্শক জগন্নাথ চন্দ্র জানান, এজাহার নামীয় আসামি হাফিজুর রহমান শেখ (৩৫) নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে। বাগেরহাট ডিবি পুলিশ, মোল্লাহাট থানা পুলিশ ও কে,এম,পি, পুলিশের যৌথ চেস্টায় খুলনা হরিণটানা এলাকার এক বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান জাকির গ্রুপের ৭৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে জনৈক ছবেদ আলীর বাদীত্বে মামলা রুজু হয়েছে। যার নং-১৮, তাং-৩০/০৫/২০ ইং, ধারাঃ-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭ ও ১১৪। এ মামলার আইও উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসান জানান, এজাহার নামীয় ৮ নং আসামি সেতু শেখ’কে গাংনী এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।