ভাণ্ডারিয়া লঞ্চ ঘাট ফের কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রামন (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব রোধে লক ডাউনের দীর্ঘ ৬৭দিন পর গতকাল রোববার পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে মর্নিংসান-৯ এবং পারাবাত-১৪ নামের ঢাকা গামী দুটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে। দুপুর আড়াইটা এবং পৌঁনে তিনটায় পৃথক ভাবে ঘাট ছাড়ে লঞ্চ দুটি। সরেজমিনে দেখা যায় ঘাট কর্তৃপক্ষ যাত্রীরা লঞ্চে প্রবেশের পূর্বে যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘাট টিকেট দেয়া হয় এবং যাত্রীরা লঞ্চে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের স্ব স্ব নির্ধারিত সিটে বসার পূর্বে সেখানে বিশুদ্ধকরণ ওষুধ স্প্রে ছিটানো হয়। ডেকে থাকা যাত্রীদের নিজে থেকেই সতর্কতা লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ,মুখে মাক্স এবং সাথে রয়েছে বিশুদ্ধকরণ ওষুধ। যাত্রীদের সাথে আলাপকালে তারা যানান,দীর্ঘদিন পর নৌ পথে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন ভাড়া ২/১শ টাকা বেশি নিলেও যেতে পারছেন এটাই বড় কথা। এদিকে দীর্ঘ ৬৭দিন দুটি লঞ্চ ভাণ্ডারিয়া ঘাটে নোঙ্গর করে থাকা লঞ্চ স্টাফদের শুধু নিত্য দিনের কোলাহল ছাড়া - থাকা ,খাওয়া,বেতন নিয়ে কোন অসুবিধা হয়নি তাদের। তবে ঘাট ইজারাদার এবং সেখানে কর্মরত ২৫জন শ্রমিকের বহু ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। পারাবাত -১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার আবুল বসার জানান, তাদের লঞ্চে সব মিলিয়ে ৪০জন স্টাফ রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ের তাদের নিয়মিত যে সুযোগ সুবিধা লঞ্চ মালিক বহন করত তা এ বন্ধেও করেছে। দীর্ঘদিন পর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে গতকাল রোববার ঢাকার উদ্দেশ্যে ঘাট ছাড়ছেন। ঢাকাণ্ডভাণ্ডারিয়া যাওয়া আসায় তাদের প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয় যে যাত্রী তাতে তা সঙ্কুলন হবেনা বলে জানান। তিনি আরো জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ডেকে সাধারণ যাত্রীদের ৩০০টাকা ভাড়া এবং ২৩টাকা ভ্যাট,ট্যাক্স মিলিয়ে ৩২৩টাকা নেয়া হচ্ছে। এবং কেবিন সিংগেল ১২০০ ও ডবল ২৪০০শ টাকা।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে আজ যেহেতু নৌ,সড়ক পথে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশের তদারকি ও ছিল চোখে পড়ারমত। এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, বাসটার্মিনাল,লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের মধ্যে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লঞ্চ,বাস মালিক সমিতিকে সরকারি নির্দেশনা জানানো হয়েছে। এখন আমরা এটা তদারকি করব যে তারা সে নিয়ন মানে কিনা। যদি কেউ না মানে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।