রাজশাহীর তানোরে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মীর গৃহবধূকে নিয়ে বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উধাও হয়ে গেছেন। এনিয়ে আজ (৩১ মে) রোববার সকালে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মী এরশাদ মিয়া বাদী হয়ে তানোর থানায় তার গৃহবধূ হারানো সাধারণ (জিডি) করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত (১৫ মে) শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার গাগরন্দ সাইপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোমিনুল হক মমিন (৪৬)। তিনি পাঁচন্দর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। চেয়ারম্যান তার সামাজিক মর্যাদা ও সুনাম নষ্ট করে উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড আ.লীগ কর্মীর ঘরের গৃহবধূকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে উধাও হয়ে গেছেন। ওই গৃহবধূ উপজেলার গাগরন্দ সাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চাঁন্দুড়িয়া ইউপির ওয়ার্ড আ.লীগ কর্মী এরশাদ মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪০)। এরশাদ আলু ও ধান ব্যবসায়ী।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান মমিন বেশ কয়েক বছর ধরে আ.লীগ কর্মী এরশাদ মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগমের সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। এসুবাদে তাদের মধ্যে দেহ মিলনও ঘটে। এ অবস্থায় গত ১৫ মে দিবাগত রাতে চেয়ারম্যানের হাত ধরে রোজিনা বেগম তার স্বামীর বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেছে।
এনিয়ে আ.লীগ কর্মী এরশাদ মিয়া জানান, তার স্ত্রী রোজিনা বেগম আলু বিক্রি করা ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও সোয়া দুই ভরি (স্বর্ণ) সোনা নিয়ে বিএনপি নেতা মমিন চেয়ারম্যানের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি পালানো স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় হারানো জিডি করেছেন।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান মোমিনুল হক মমিনের ০১৭১২-৫৪৬০৬৪ নম্বর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে তানোর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেছেন, ঘটনাটি নিয়ে থানায় জিডি নোট করা হয়েছে। বাদী চাইলে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।