বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাসিব শেখ (১৭) নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার বেলা ১১টায় চিতলমারী উপংেজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিব মারা যায়। এর আগে শনিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মামুনসহ কয়েকজন মারপিট করে হাসিবকে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার সকালে হাসিবকে হাসপাতালে নেয় তার পরিবার।
হাসিব শেখ দক্ষিনপাড়া গ্রামের এমদাদুল শেখের ছেলে। দরিদ্র পরিবারের ছেলে হাসিব লেখাপড়া না জানলেও খুলনার একটি পেপসি কোম্পানিতে কাজ করত।
হাসিবের মা জোৎসনা বেগম বলেন, মামুনসহ কয়েকজন আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে বাড়ির পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে মারধর করে। লাঠি দিয়ে সারা শরীরে পেটায়। রাতে খুব অসুস্থ অবস্থায় হাসিবকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। সকালে কান ও মুখ থেকে রক্ত বের হলে হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানে হাসিব মারা যায়। আমার ছেলের হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেন, খাওয়া দাওয়া শেষে শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয় হাসিব। বিড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন মিলে হাসিবকে মারধর করে। অসুস্থ হাসিবকে রোববার সকালে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সে মারা যায়। হাসিবের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, নিহত হাসিব দূরারোগ্য রোগে আক্রন্ত ছিলেন। তার শরীরে রক্ত শূন্যতা ছিল।