লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর বুড়ির ঘাট এলাকায় নৌ-পুলিশের অভিযানে হামলা চালিয়েছে জেলেও মৎস্য আড়ৎদাররা।এতে পুলিশের এক এস,আইসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আতœরক্ষার্থে ৫ রাউন্ড ফাঁকাগুলি করে নৌ-পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী মনির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃত মনির (১৯) কমলনগর উপজেলার হাসন আলী মাঝীর ছেলে।
পুলিশ জানান,রোববার বিকালে নৌ-পুলিশের এস আই মেহেদী হাসান এক জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নৌ-পুলিশের আটককৃত জেলে মনির হোসেন (১৯) কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধার পর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর বুড়ির ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের নৌ-পুলিশের ইনচার্জ অচিন্ত কুমার দে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেরা প্রকাশ্যে মেঘনা নদীতে খুটি জাল দিয়ে অন্যান্য মাছ মেরে চিংড়ি রেনু ধরছিল। এসময় তারা অভিযান চালিয়ে খুটি জাল তুলে নিয়ে আসার সময় বুড়ির ঘাট এলাকায় পৌঁছলে কয়েকজন মৎস্য আড়ৎদার ও জেলেরা তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এসময় তিনিসহ নৌ পুলিশ সদস্য রুবেল, আবু তাহেরসহ তিন জন আহত হন। পরে তারা আতœরক্ষার্থে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁেড়ন। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী জেলে মনির হোসেন (১৯) কে আটক করে থানায় আসা হয়। এছাড়া আহত নৌ-পুলিশদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর এ সময়ে নদীতে খঁিট জাল দিয়ে বাধঁদিয়ে প্রভাবশালী একটি চক্র জেলেদের ব্যবহার করে চিংড়ি রেনু সংগ্রহ করে আসছিলো। এবছর তারা আবার শুরু করলে নৌ-পুলিশ খবর পেয়ে তাদের খুটিঁ জাল তুলে নিয়ে আসার সময় জেলেসহ মৎস্য আড়ৎদাররা একত্রিত হয়ে বুড়ির ঘাট এলাকায় জড়ো হয়ে নৌ পুলিশের হামলা চালায়। খুঁিট জাল ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টাকরে। এসময় পুলিশ ও আতœরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে তারা পিছু হটেন হামলাকারীরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জেলে মনির হোসেন (১৯) কে আটক করে নৌ-পুলিশ।
এদিকে নৌ-পুলিশের উপর হামলা ও মামলার ঘটনায় জেলে পরিবারের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অনেক জেলে ও আড়ৎদার পলাতক রয়েছে।
সদর থানার ওসি এ কে এম আজিজুল জানান, নদীতে নৌ-পুলিশের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার