বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি তাদের সীমান্ত সুরক্ষায় জনবল ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়েছে রাজিবপুর-রৌমারী এলাকার মাদক ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। “মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” এই মন্ত্রকে সামনে রেখেই জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস এম আজাদ, এসইউপি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নি¤œবর্ণিত মাদকদ্রব্যসহ আসামী আটক করতে সক্ষম হয়ঃ
কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলাধীন বালিয়ামারী বিওপি’র সুবেদার মোঃ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে ০৬ সদস্যের একটি বিশেষ টহলদল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ মে তারিখ সীমান্ত পিলার ১০৭১/৬-এস হতে আনুমানিক ০২ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বালিয়ামারী খেয়াঘাট এলাকায় গমন করে ওঁৎ পেতে বসে থাকে। দুপুর আনুমানিক দেড়টায় টহলদল দেখতে পায়, একজন লোক আলগারচর হতে বালিয়ামারী খেয়াঘাটের দিকে হেঁটে আসছে। তার চলাচল সন্দেহজনক মনে হলে টহলদল তাকে আটক পূর্বক তল্লাশী করে তার নিকট হতে ৩০,০০০/- টাকা মূল্যমানের ৯৫ পিচ ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ০১টি মোবাইল ফোন জব্দ করে। আসামীর নাম ও ঠিকানা: মোঃ বাহার উদ্দিন (বয়স-২৫ বছর), পিতা-মোঃ ইছা উদ্দিন, গ্রাম- উত্তর আলগারচর, পোস্ট- যাদুরচর, উপজেলা- রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম।
একই দিন বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় হাবিলদার মোঃ আবু আলা রব্বানী এর নেতৃত্বে ০৬ সদস্যের একটি টহলদল সীমান্ত পিলার ১০৭২/২-এস এর নিকট বেপারীপাড়া এলাকায় গমন করে সন্দেহভাজন একজনকে তল্লাশী করে তার নিকট হতে ১,৮৭৫/- টাকা মূল্যমানের ২৫০ গ্রাম ভারতীয় গাঁজা এবং ০১টি মোবাইল ফোন জব্দ করে। আটককৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা: মোঃ শ্রী সুখচান রবিদাস (৩৫), পিতা- মৃত রূপচান রবিদাস, গ্রাম, পোস্ট ও উপজেলা-রাজীবপুর, জেলা-কুড়িগ্রাম। উল্লেখ্য, আটককৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতঃ ইয়াবা এবং গাঁজাসহ রাজীবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।।
এছাড়াও অদ্য ৩১ মে ২০২০ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫ ঘটিকায় কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলাধীন খেয়ারচর বিওপির নাঃ সুবেঃ মল্লিক মোঃ হাসনাইন এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিশেষ টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত পিলার ১০৭০/এমপি হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উত্তর আলগারচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩,৩৭,৫০০/- টাকা মূল্যমানের ১১২৫ পিচ ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট মালিকবিহীন অবস্থায় আটক করে। আটককৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে যা পরবর্তীতে ধ্বংস করা হবে।