কাজের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে ৫ মাসের অন্তসত্তা করেছে রাজিবপুরের এক প্রভাবশালী আওয়ামীগ নেতা। বিষয়টি এলাকাবাসীর জানাজানি হলে তাকে গর্ভপাত করার চাপ প্রয়োগ। না করলে জানে মারার হুমকি দিয়েছে। ৩ দিন পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে কৌশলে রোববার সন্ধ্যায় চর রাজিবপুর থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার চর রাজিবপুর থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর বাদিনীকে টেষ্ট করানোর জন্য কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের দরবারে পাঠনো হয়েছে। থানায় মামলা ও এলাকাবাসীর তথ্যমতে জানাগেছে,উপজেলার বড়াইডাঙ্গী গ্রামের মৃত্যু খয়ের উদ্দিনের কিশোরী কন্যা সোনিয়া খাতুন (১৭)কে গত ডিসেম্বর/১৯ কোন ১দিন ডেকে নেয় পাশ্বের্র বাড়ির মৃত্যু এফাজ উদ্দিন কারিগড়ের পুত্র সাবেক রাজিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজ উদ দৌলা (৫০), বাড়ির ঘর মোছার কথা বলে।
তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় তাকে ওই সুযোগে ধর্ষন করে।তাকে বলে তুই চিন্তা করিস না তোকে বিবাহ করব। এভাবে বেশ কয়েক দিন তাকে ধর্ষণ করে বলে কিশোরী থানায় অভিযোগ করেছেন। মেয়েটি জানান,গত কয়েক দিন হল তার চেহারা লক্ষ্য করে এলাকার অনেকেই গুনগান শুরু করে।
অবশেষে শুক্রবার রাতে এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলাম,আশরাফুল ইসলাম ক্বারীসহ বেশ কয়েক জন গ্রামের মাতবর আমার কাছে বিষয়টি জানতে চায়। আমি ঘটনাটি তাদের নিকট বলে দেই। গ্রামের মায়-মাতাব্বর শনিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে বসবে বলে আমার অন্ধ ,মাকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু ু শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে সিরাজ উদ দৌলার লোক জন আমাকে ও আমার মাকে হুমকি দেয় আমার গর্ভপাত করানোর জন্য।
উপায়ন্ত না দেখে রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। পরে এক নেতার আশ্রয় নিয়ে থানাতে এসে অভিযোগ দেই। সোনিয়া সাংবাদিকদের জানান,সে একজন এতিম মেয়ে। ঘরে একমাত্র অন্ধ মা। সে লম্পট ধর্ষক ও প্রতারক সিরাজ-উদণ্ডদৌলার বিচার চান এবং তার সন্তানের অধিকার নিয়ে বেচেঁ থাকতে চান।
এ ব্যাপারে ধর্ষক সিরাজ উদ দৌলা সাংবাদিকদের জানান,আমি একজন বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী এবং সাবেক একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।প্রকৃতপক্ষে আমি এ কাজ করিনি।
এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম মোর্শেদ তালুকদার জানান, সোমবার(১ জুন/২০) নারী ও শিশু আইনে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।যাহার মামলা নং-১। ভিক্টিমকে কুড়িগ্রাম পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা করানোর জন্য। আমরা আসামীকে ধরার চেষ্টা করছি।