যশোরের কেশবপুরে হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ ইটভাটাটি পুনরায় চালুকালে গ্রামবাসির সাথে ভাঁটা মালিক পক্ষের সংঘর্ষে ২ কৃষক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজারের পাশে সুপার ব্রিকস ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজারে উচ্চ ফলনশীল কৃষি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সুপার ব্রিকস ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখা সংক্রান্ত নির্দেশনা হাইকোর্ট পরবর্তী ৬ মাস অর্থাৎ ২০২০ সালের মে পর্যন্ত বর্ধিত করে। কিন্তু ভাঁটা মালিক এ রায়ের কোন তোয়াক্কা না করে ভাটায় আগুন দিয়ে ইট উৎপাদন শুরু করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর অভিযোগে ওই ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, এর একদিন পর ৩০ মে সকালে ভাঁটা মালিক ফারুক হোসেন বন্ধ ইটভাটাটি পুনরায় চালু করতে তোড়জোড় শুরু করে। এ সময় গ্রামবাসি বাঁধা প্রদান করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে কৃষক সাইফুল্লাহ ও মেহেদী আহত হয়। সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাইফুল্লাহ জানান, ভাঁটা মালিক ফারুক হোসেন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ভাড়া করে এনে পুনরায় ভাটায় আগুন দেয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাদের মারপিট করে। এ ঘটনায় তিনি ৩১ মে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ভাঁটা মালিক ফারুক হোসেন বলেন, সাইফুল আমার কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে ভাঁটা স্থাপনের শুরু থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। অথচ তার পিতা আবদুল জলিল প্রায় ৪বিঘা জমি ভাটার অনুকুলে লিজ দিয়ে টাকা নিয়েছে। নতুন করে ভাঁটা আগুন দেয়া হচ্ছিল না। জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছিল। কাউকে মারপিট করা হয়নি। কেশবপুর থানার এসআই সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, ওই ভাটায় মারামারি খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিবেশ শান্ত দেখে ফিরে এসেছি।