পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যার অন্যতম আসামি সাইমুন প্যাদাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। ৩১মে রোববার ভোর রাত চারটার দিকে ঢাকার বাবুবাজার একটি কর্মজীবী ৬তালা ম্যাচ বাসার ৩তালায় তার আত্মীয় দাশপাড়া ইউ.পি‘র আঃ সাত্তারের ছেলে রাকিবের কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইমুন এ হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামী। এ ছাড়া এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় আরো তিনজনকে।
জানা গেছে, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পটুয়াখালীর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সাইমুনকে। এরপড় তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে রোববার দিবাগত রাত সারে ১২টার দিকে বাউফল পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া সনজিৎ সাহা ওরফে সুনু সাহার বাড়ির কাছের একটি ডোবা থেকে ব্যবহত চাকুটি উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত সাইমুনের বাড়ি বাউফল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্বা এম এ ওয়াদুদ মিয়া সড়ক সংলগ্ন শান্ত গ্রাম। বাবা ঝন্টু প্যাদা অটোরিক্সা চালক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, সাইমুনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উল্ল্যেখ গত ২৪ মে রোববার দুপুর দুইটার দিকে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯)কে ধারালো অস্ররে আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১৫ নেতা কর্মী। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত সারে সাতটায় তাপসের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত তাপসের ভাই পংকজ দাস বাদি হয়ে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামল দায়ের করেন বাউফল থানায়।