ঝালকাঠি শহরের শহীদ স্মরণী এলাকার (পৌর খেয়াঘাট সংলগ্ন) এক স্কুল শিক্ষক বুকে ব্যথা নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে স্বজনরা হাসপাতাল নিয়ে যায় তাকে।তবে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষণা করেন। প্রয়াত এ শিক্ষকের নাম শাখাওয়াত হোসেন মোল্লা (৫০)। তিনি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং নুরুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তবে কয়েক বছর ধরে তিনি জেলা শহরের নতুন চর এলাকার শহীদ স্মরণী সড়কে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, মারা যাওয়ার পর ওই শিক্ষককে হাসপাতালে আনা হয়। তার করোনা পজেটিভ ছিলো কীনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এদিকে জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে। সোমবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৫২ জন করোনায় সনাক্ত হয়েছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার। মৃত্যুকালে এ শিক্ষক এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শিক্ষক সমাজসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঝালকাঠিতে খাল থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
রহিম রেজা, ঝালকাঠি থেকে
ঝালকাঠিতে খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে দিকে সদর উপজেলার টিটিসি সেন্টার সংলগ্ন বাদামতলা খাল থেকে এ নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাদামতলা খালে এক নবজাতকের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ দুপুর সাড়ে বারটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসে। ধারনা করা হচ্ছে খালে ভেসে আসা শিশুটি সদ্য ভূমিষ্ট। জন্মের পর শিশুটির নাড়ি পর্যন্ত কাটা হয়নি। শিশুটির নাড়ির সাথে ঝোপ ঝাড় পেচিয়ে আটকে খালে ভাসছিল। ঝালকাঠি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় এক নবজাতকের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।