যশোরের কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের দীর্ঘদিনের দ্বন্ধ প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। চলছে হামলা মামলা পাশাপাশি প্রতিপক্স গ্রুপের সমর্থকদের উপর হামলা ও জখমের ঘটনা ঘটে চলেছে। করোনা ভাইরাস ্আতঙ্কে মানুষ যখম দিশেহারা অবস্থায় সে মুহুর্ত্বে আভ্যন্তরীণ দ্বন্ধে হামলা ও রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটে চলেছে। যার কারণে সাধারণ মানুষের ভিতর বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের কমৃী সোহানুর রহমান পিন্টুকে প্রতিপক্ষরা হামলা ও মারপিট করে জখম করে। এরই জের ধরে সোমবার সকালে অপর গ্রুপের সদস্যরা যুবলীগ কর্মী পাঁজিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম(৩৫)কে পাঁজিয়া বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে ও ইটের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহতাবস্থায় শহীদুল ইসলাম কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর দিকে হদ গ্রামের সোহানুর রহমান পিন্টুকে মারটি ও জখমের ঘটনায় কেশবপুর থানায় সোহানুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সহ ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় সোমবার সকালে কেশবপুর থানার এস আই তাপস রায় অভিযান চালিয়ে পাঁজিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হোসাইন (৩৮) সবুজ হোসেন(২৬) ও মিন্টুকে(২৮) আটক করে। আটককৃতদের পুরিশ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এমনিতর পরিস্থিতিতে চলছে পাঁজিয়া ইউনিযন যুবলীগের দ্বন্ধ হামলা আর পাল্টা হামলা। আপহত শহীদুল ইসলামের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে যে, শহীদুল ইসলাম যুবলীগের রাজনিতীর সাথে জড়িত তাকে একই দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বাজার থেকে ধরে নিয়ে মারটি করে রক্তাক্ত জখম করেছে। এ ঘটনার পর শহীদুল ইসলামের পরিবার থেকে কেশবপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাঁজিয়া ইউণিযন যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুর হোসাইন শহীদুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ চেতনার রাজনৈতিক সংগঠণ এখানে দলের বিতর কোন দ্বন্ধ নেই। এক শ্রেনীর সুযোগ সন্ধানীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কেশবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, হামলা বা মারামারির ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।