দিরাই উপজেলা সদরের সাথে ভাটিপাড়া এবং রফিনগর ইউনিয়নের যাতায়াতের একমাত্ররাস্তাটির বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা ও এটি। এ রাস্তা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে বারবার। কিন্তু কারো নজরে পড়েনি। সরকারের কর্তাব্যাক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন ফল হয়নি। এটা এখন এ এলাকার মানুষের মরন ফাঁদে ফরিনদ হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
মঙ্গলব্রা দুপুরে একটি ইজিবাইক উল্টে ৮ জন আহত হয়েছেন। শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু আহতদের উদ্ধার করে চিবকৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শি শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু বলেন, মাত্র ১২ কি.মি সড়ক কিন্তু এর প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে আছে একেকটি মৃত্যুফাঁদ। বৃষ্টি হলে রাস্থার বেহাল দশার কারণে গাড়ি থাকা সত্বেও বাড়িতে নিতে পারি না। পাথারিয়া গাড়ি রেখে হেঁটে বা মটর সাইকেলে আসা-যাওয়া করি।
প্রতিদিনের মত আজও পাথারিয়া হেঁটে আসার প্রাক্কালে টিক আমার সামনে কাঁদার মধ্য একটা ইজিবাইক আটকে যায় এবং সাথে সাথেই গাড়ী উল্টে যায়। গাড়িতে মহিলা শিশু বৃদ্ধ সহ ৭/৮ জন যাত্রী ছিলেন। মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহে সবার বড় কোনো সমস্যা না হলেও কমবেশি আঘাত পেয়েছেন। সবাই অনেক বড় একটা দুর্ঘটনার হাত হতে বেঁচে ফিরেছেন। এখন প্রশ্ন হল এই রাস্থার জন্য লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরপরেও রাস্থা সংষ্কারে কোনো কার্যকর ভূমিকা কেউ রাখছেন না। বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে কী আপনাদের টনক নড়বে।
আমাদের তিনটি ইউনিয়নের (শিমুলবাঁক, ভাটিপাড়া, রফিনগর) অনেকগুলো গ্রামের চলাচলের আর কোনো বিকল্প রাস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। আমরা তো অনৈতিক বা অকল্পনীয় কোন দাবী আপনাদের কাছে করছি না। আমরা আমাদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্থবায়নের জন্য বারবার আপনাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আমি স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য, মান্যবর জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দয়া করে অতিদ্রুত আমাদের এই সড়কটি সংষ্কার করে দিন। এটা আমাদের প্রাণের দাবী।