গত ৮ই মার্চ সারা দেশে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রামন (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিজ বাড়িতে আসা ২৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ১২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ, ৪জন সুস্থ্য ও ৮ জন হোমকোরাইনন্টেনে আছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এইচ এম জহিরুল ইসলাম। লকডাউন উঠে যাওয়ায় বেশীরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সরকারি নির্দেশে হাসপাতালে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করলেও সেখানে কেহ আসছেনা। পৌর শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় ক্রেতা বিক্রেতারা বেশীরভাগই সামাজিক দুরত্ব, মাক্সপড়া কিছুই মানছেন না। মাক্স না পড়লে জেল অথবা জরিমানা হতেপারে তা জেনেও মনেহচ্ছে মানুষ বেপরোয়া হয়ে গেছে। স্বাস্থ্র ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে মানুষ। মাক্স না পড়া ক্রেতা মো: ছবুর হোসেন, ইলিয়াস মুন্সি, হরমুজ আলী ও পান বিক্রেতা পরাম রায়, ফল বিক্রেতা আ: আজিজকে মাক্স কেন পড়ছেন না সে বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন ভাগ্যে যা আছে তা হবে তবে তাদের নিকট মাক্স রযেছে বরে দাবী করেন।। ইতোমধ্যে কভিড-১৯ সংক্রামন প্রাদুর্ভাব রোধে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা পরিষদ,পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ একযোগে সমন্বিত ভাবে কাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ম্যাডিকেল টিমের সদস্যরা জীবনের ঝূঁকি নিয়ে রাত দিন স্ব স্ব দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এইচ এম জহিরুল ইসলাম আরো জানান, কভিট-১৯শুরু হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন ১২৮,পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-ইন্দুরকানী ) আসনের সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয়পার্টি জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি তার প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন দুঃস্থ কল্যাণ সংস্থা এবং ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম এর প্রতিষ্ঠিত মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে তারা ডাক্তার,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য দুজনে সরকারি বরাদ্ধ ছাড়াও পৃথক ভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পিপিই, হ্যান্ডস্যানিটাইজার সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছেন। ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম তিনি তার প্রতিষ্ঠিত মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে করোনা রোগী বহনের জন্য একটি এম্বুলেঞ্চ দিয়েছেণ। যে সকল বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে সে সকল বাড়ি ছাড়াও তাদের প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন দুঃস্থ কল্যাণ সংস্থা ও মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে উপজেলা ব্যাপী খাদ্য সামগ্রী, শাড়ী, লুঙ্গি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।