দৈনিক পূর্বাঞ্চলে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের তৎপরতায় বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার নিখোঁজ ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী উদ্ধার হয়েছে। ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, তাকে কয়েক যুবক জোর করে ধরে যায়। তারা একটি ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন নানা নির্যাতন করে। গত সোমবার (০১ জুন) তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ,এবং পরে কোর্টে পাঠিয়েছে ২২ধারায় জবান বন্দী দিতে। ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে দুই যুবক আটক আছে। নিখোঁজের প্রায় আড়াই মাস পরে ওই ছাত্রী উদ্ধার হল। গত ১৪ মে দৈনিক পূর্বাঞ্চলে ‘৫৫ দিনেও নবম শ্রেণির ছাত্রীর খোঁজ হয়নি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।
কচুয়া থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ শেখ সফিকুর রহমান দৈনিক পূর্বাঞ্চলকে বলেন,ছাত্রীকে অপহরণকারীরা নিয়ে খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া এলাকার একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করতো। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে ওই ছাত্রী পালিয়ে মোংলার দ্বিগরাজ বাজার এলাকায় চলে আসলে আমার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান যে,এই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত ১২ মে আমার থানায় অপহরণ মামলা করেন, ১৩ মে কচুয়ার টেংরাখালি গ্রামের শাহাজান ওরফে সাহা শিকদারের ছেলে তরিকুল শিকদার (২০) এবং সালাম শেখের ছেলে কাইয়ুম ওরফে আকাশ শেখ (২০)কে এই অপহরণ মামলায় আটক করি। এরপর তাদের বাগেরহাট বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার এসআই মোঃ অহিদুল হক দেনিক পূর্বাঞ্চলকে জানান,ওই ছাত্রী (১৫) কচুয়ার মালিপাটন আক্তারউদ্দিন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে বলে তার কৃষক বাবা জানান। তাদের বাড়ি গোপালপুর ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে। গত ১৬ মার্চ রাত নয়টার দিকে ওই ছাত্রী তার বাবার সাথে গ্রামের ফুলতলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। সেখানে সিরাজ হাওলাদারের বাড়ির উঠানে নারীদের বসার স্থানে মেয়েকে রেখে বাবা পুরুষদের বসার নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে বসেন। ওয়াজ শেষে ফেরার পথে মেয়ে আর খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করেন, অবশেষে বাড়ি চলে যায় খুজঁতে। কিন্তু বাড়িতেও মেয়ে ফেরেনি। বিষয়টি গত ১৭ মার্চ কচুয়া থানা সাধারণ ডায়রী করা হয়। যার নম্বর ৬১০।
তিনি আরও জানান যে, আমরা এই মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেস্টা চলছে।