করোনা সংকটেও বাঁধ মানেনি অদম্যরা। কচিকাচা সোনামুখ শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা সোনামুখ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এ এম কামরুল ইসলামকে জন্মদিনের ভালোবাসায় সিক্ত করলেন। সোনামুখ পিতা নামে যিনি দেশে বিদেশে পরিচিত।
১ জুন ছিল শিক্ষাসেবি সংগঠন ওয়াসেক আলী শিক্ষা প্রকল্প, সখিনা আলী সেবা প্রকল্প, সোনামুখ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মানবপ্রেমিক এ এম কামরুল ইসলামের জন্মদিন। করোনার সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও বাঁধ মানেনি অদম্য সোনামুখেরা। সামাজিক দূরত্ব রেখে ফুলেল শুভেচ্ছা, কেক কেটে এবং নানা অনুষ্ঠানে সোনালী জ্বলজ্বলে দিন অতিবাহিত করেছে তারা। সকাল থেকে নিারালা বাসভবনে শুভানুধ্যায়ীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তারপর গ্রামের বাড়ি আন্দুলিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদরাসা হলরুমে সোনামুখ স্বপ্ন চারা নামে নতুন কার্যক্রমের অনুষ্ঠানে কচিকাচা অদম্য সোনামুখ শিক্ষার্থীরা ফুলেল শুভেচ্ছা ও কেক কেটে দিনটিকে যেন সমুজ্জ্বল ও প্রীতিময় করে তোলে।
সোনামুখ কর্মী ফাতেমা জান্নাতি টুম্পা জানায়; সোনামুখ প্রতিষ্ঠাতার জন্মের শুভক্ষণ সমুজ্জ্বল প্রীতিময় হোক এবং জীবনের প্রতি পরতে পরতে আনন্দক্ষণগুলো তাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকুক। তার স্নেহ ছায়ায় যেনো আমাদের অনেক বছর পথ চলা হয়। সোনামুখের সফলকর্মী রাজকন্যা ঋতু জানায়; একজন সফল মানুষের জন্মদিনে মনে হয়েছে সোনামুখ পরিবারের উজ্জ্বল সূর্য উদিত হবার দিন। তারমত একজন মানবপ্রেমিক মানুষকে নিয়ে তৃপ্তির সাথে আনন্দে গর্বে বুকভাসে। মহান আল্লাহ যেন তার দীর্ঘজীবী করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোমানা আহম্মেদ জানান; কামরুল ইসলাম স্যারের মত মানুষ হয় না। তিনি খুব ভালো মনে একজন মানুষ। তিনি আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। তিনি সোনামুখ পরিবারের প্রতিটা প্রোগ্রাম এ আমাকে আসতে বলেন এবং আমি আসার জন্য চেষ্টা করি। তার এ মানব সেবা কার্যক্রম আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করে। তার জন্মদিনে দীর্ঘ আয়ু কমনা করি। তিনি যেন এভাবে মানুষের পাশে থাকতে পারেন।
সোনামুখ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এ এম কামরুল ইসলাম বলেন; ১ জুন ছিল আমার জন্মদিন। বরাবরের মত আমি ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সকাল থেকে সবার ভালবাসায় আমি সিক্ত। আমার জীবনে এটা মহান প্রাপ্তি। ফেসবুকের মেসেঞ্জারে, মোবাইলে, সরাসরি, মনে মনে যারা আমাকে দোয়া করেছেন তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি সবার ভালবাসার উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি। সবার কাছে আমি ঋণী। সারাদিন গ্রামের ছেলেমেয়েদের সাথে মিশে 'সোনামুখ মায়ের খুশি' অনুষ্ঠানে থেকে ভীষণ ভাল লেগেছে। সোনামুখ পরিবারের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে ভাল লেগেছে। সোনামুখ স্বপ্ন চারা’ নামে নতুন কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে।